বিনোদন ডেস্কঃ
অক্টোবর ১৬, ২০২২
০৩:২০ পূর্বাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ১৬, ২০২২
০৩:২২ পূর্বাহ্ন
অবশেষে নানা শঙ্কা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত ঢাকার মঞ্চে গাইলেন কবীর সুমন।
শনিবার বিকেল সোয়া পাঁচটায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের মঞ্চে ওঠেন কবীর সুমন। গান শুরু করার আগে ছোট্ট বক্তব্য দেন তিনি। সুমন বলেন, ‘এখন গিটার বাজাতে পারি না, এটা নিয়ে দুঃখ নেই। গুরুদের কৃপায় গাইতে পারি। এটাই আনন্দ।’
সুমন জানালেন, শরীরে বাসা বাঁধা দুটো রোগের কারণে এখন আর ঠিক মতো উঠে দাঁড়াতে পারেন না তিনি। চলাচলের জন্য বসতে হয় হুইল চেয়ারে। সমস্যা হয় কোথাও একটানা বসে থাকলেও। এসব সমস্যার কথা জানিয়ে সুমন বলেন, ‘মাঝে মাঝে মনে হয় শুয়ে শুয়ে গান গাই!’
এদিকে আয়োজকদের অব্যাবস্থাপনা আর অডিটোরিয়াম জটিলতা নিয়ে কোনো কথা বলেননি কবীর সুমন। কোনো আক্ষেপ প্রকাশ না করেই আগত দর্শকদের শোনালেন তার শ্রোতা নন্দিত কয়েকটি গান। গাইলেন ‘একেকটা দিন’, ‘পুরানো সেই দিনের কথা’, ‘হাল ছেড়োনা বন্ধু’, ‘তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা’, যদি ভাবো কিনছো আমায়’।
এদিকে অনুষ্ঠান শুরুর মাত্র ৩০ মিনিট পরেই আয়োজকেরা অডিটরিয়াম থেকে বের করে দেন গণমাধ্যমকর্মীদের! এতে প্রচণ্ড বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় আয়োজকদের প্রতি। টিকিট অব্যবস্থাপনা, অডিটোরিয়াম জটিলতা এবং সংবাদকর্মীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের কারণে আগে থেকেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান পিপহোল। যার শেষ পেরেকটা পড়লো সুমনের প্রথম দিনের আয়োজনের আধা ঘণ্টার মধ্যে সংবাদকর্মীদের বের করে দেওয়ার ঘটনায়।
এই বিষয়ে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানোনো হয়, সাংবাদিকদের আধাঘণ্টা সুযোগ দেওয়া হয়েছে সংবাদ সংগ্রহ ও ভিডিও ফুটেজের জন্য। তারা তো টিকিট কাটা দর্শক নন। ফলে তাদের উপস্থিতির কারণে টিকিট-কাটা দর্শকদের সংগীত উপভোগে ব্যাঘাত ঘটবে!
এর আগে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে ১৫-১৮ অক্টোবর পর্যন্ত কবীর সুমনের গানের তিনটি অনুষ্ঠানের সূচি ঘোষণা করে আয়োজক প্রতিষ্ঠান পিপহোলের কর্মকর্তারা। জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে ১৫ অক্টোবর আধুনিক বাংলা গান, ১৮ অক্টোবর বাংলা খেয়াল ও ২১ অক্টোবর আধুনিক বাংলা গান পরিবেশনের কথা ছিল। সে অনুযায়ী অনুষ্ঠানের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপি’র কাছে। কিন্তু অনুমতি মেলেনি। পরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে গান করার অনুমতি পায় আয়োজকরা।
এসই/০৪