সিলেট মিরর ডেস্ক
                        জুলাই ০৮, ২০২১
                        
                        ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন
                        	
                        আপডেট : জুলাই ০৮, ২০২১
                        
                        ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন
                             	
 
                        
             
    সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় নৌপুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মামলা দিয়ে নিরীহ শ্রমিকদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৭ জুলাই) এমন অভিযোগ জানিয়ে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশের ডিআইজি বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছেন ছাতক উপজেলার মুক্তিরগাঁও গ্রামের অ্যাডভোকেট আলম উদ্দিন। 
তিনি চেলা নদী ও মরা চেলা নদী বালুমহালের ইজারাদারি প্রতিষ্ঠান ফয়েজ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ফয়েজ আহমদের নিকটাত্মীয়। স্মারকলিপিতে ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘ইজারাকৃত চেলা নদী ও মরা চেলা নদীর বালুমহালে নৌপুলিশের চাঁদাবাজি ও হয়রানির ঘটনায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন ব্যবসায়ীরা। যথানিয়মে রয়েলিটি প্রদানের পরও ছাতক নৌপুলিশকে দিতে হয় বড় অংকের চাঁদা।’
চাঁদা না দেওয়ায় গত ৪ জুলাই ছাতক নৌপুলিশ ইউনিটের ইনচার্জ মঞ্জুরুল আলমের নির্দেশে নৌপুলিশ সদস্যরা শ্রমিকদের উপর হামলা চালান বলে স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়। এ ঘটনায় বালুমহালের ইজারাদারী প্রতিষ্ঠান ফয়েজ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ফয়েজ আহমদ ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এই মামলা থেকে নিরপরাধ ব্যক্তিদের অব্যাহতি প্রদানের দাবি জানানো হয় স্মারকলিপিতে। আলম উদ্দিন বলেন, ‘ইজারাদারকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে একটি মহল মরিয়া হয়ে উঠেছে। এরই প্রেক্ষিতে তাদের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে পুলিশের মামলায় নিরীহ ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ইজারাদার পক্ষের লোকজনকে প্রায়ই রয়েলিটি আদায়ে বাঁধা প্রদান করে পুলিশ। এতে মারাত্মক ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ইজারাদার।’
আলম উদ্দিন নৌপুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ইজারাদার পক্ষকে যথাযথ নিয়মে রয়েলিটি আদায়ে পুলিশি হয়রানি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিভাগীয় কমিশনার ও সিলেট রেঞ্জের ডিআইজির সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।