সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
                        জুন ২৪, ২০২১
                        
                        ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন
                        	
                        আপডেট : জুন ২৪, ২০২১
                        
                        ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন
                             	
 
                        
             
    সুনামগঞ্জ শহরের বাঁধনপাড়ায় মন্দিরের জায়গা নিয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (২৩ জুন) দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ বাঁধনপাড়ার দুর্গামন্দিরের জায়গা নিয়ে মৃত হরেন্দ্র কুমার দে’র ছেলে সিতাংশু দে মঞ্জুর সঙ্গে এলাকাবাসীর বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধ সমাধানের জন্য দুইপক্ষই পৌর মেয়র নাদের বখত’র সঙ্গে দেখা করে। পরে পৌরসভার পক্ষ থেকে জায়গার মাপজোখ নিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়ার কথা জানান দুইপক্ষ।
একপক্ষের দাবি, পৌরসভার পক্ষ থেকে মন্দিরের জায়গা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। পৌরসভার মধ্যস্ততা না মেনে মন্দিরের জায়গা দখল করে সীমানা প্রাচীর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন সিতাংশু দে মঞ্জু। আর আরেকপক্ষের দাবি, মন্দিরের নির্ধারিত জায়গা ছেড়ে বাড়ির সীমানা প্রাচীরের খুঁটি দিচ্ছিলেন তারা। তবু তাদের খুঁটি স্থাপনে বাধা দেওয়া হয়।
সংঘর্ষে আহত হওয়া অনুপ কুমার ধর বলেন, মন্দিরের জায়গা দখল করে বাড়ির সীমানা প্রাচীরের খুঁটি বসাতে চেয়েছে প্রতিপক্ষ। পৌরসভার মেয়র তাদের সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তারা পৌরসভার নির্দেশনা না মেনে অবৈধভাবে মন্দিরের জায়গায় বাড়ির সীমানা প্রাচীরের খুঁটি বসাতে চেয়েছিল। আমরা সেখানে গিয়ে বাধা দেওয়ায় আমাদের ওপর হামলা করেছে। এ সময় আমাদের ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
আর সিতাংশু দে মঞ্জু বলেন, আমরা অবৈধভাবে বাড়ির সীমানা প্রাচীরের খুঁটি বসাইনি। আমরা আমাদের জায়গায় সীমানা প্রাচীরের খুঁটি বসিয়েছি। এজন্য পৌরসভার মেয়রের অনুমতি এনেছি। মেয়র আমাদের অনুমতি দিয়েছেন। তারা অবৈধভাবে আমাদেরকে বাধা দিয়েছে। সীমানা প্রাচীরের লোহার খুঁটি উপড়ে ফেলেছে। এ সময় লোহার আঘাতে আহত হয়েছে তারা।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মৃত বিনোদ লাল চক্রবর্তীর ছেলে রাজগোবিন্দ চক্রবর্তী। অভিযোগপত্রে সিতাংশু দে মঞ্জু (৪৮), শোভন দে (২৮), শুধাংশু দে (৫৫), ইলা রানী পাল (৫০), শুভ্রা রানী দে (৪৮), শিল্পী রানী দে (৩৫) সহ আরও ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সহিদুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকেই বলে এসেছি এটা নিয়ে আর কোনো ঝামেলা না করতে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি থানার বাইরে রয়েছি। থানায় গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখব অভিযোগ করা হয়েছে কি না।
এএম/আরআর-১৯