শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি
মে ১৯, ২০২১
১০:৫৩ অপরাহ্ন
আপডেট : মে ২০, ২০২১
১২:২৪ পূর্বাহ্ন
মো. মসুদ মিয়া
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অজ্ঞাত এক নারীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তার স্বামীকে আটক করে বুধবার (১৯ মে) আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার (১৮ মে) সকালের দিকে শ্রীমঙ্গল থানাধীন ৪ নম্বর সিন্দুরখান ইউনিয়নের অন্তর্গত পশ্চিম বেলতলী সাকিনস্থ উদনার ছড়া সেতুর নিচে কে বা কারা বস্তাবন্দি অবস্থায় অজ্ঞাত ওই নারীর লাশ ফেলে যায়। শ্রীমঙ্গল থানার এসআই মোহাম্মদ আসাদুর রহমান বাদী হয়ে এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় মামলা দায়ের করেন এবং পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) মো. হুমায়ূন কবির মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করেন।
মামলা দায়েরের মাত্র কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে মৌলভীবাজার জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়ার নির্দেশে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) আশরাফুজ্জামান, শ্রীমঙ্গল থানার ওসি মো. আব্দুছ ছালেক ও অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাদের সহায়তায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হুমায়ূন কবির হত্যাকাণ্ডে জড়িত মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করেন।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম মো. মসুদ মিয়া (৬২)। তিনি উপজেলার রামনগরের মৃত এখলাছ মিয়ার ছেলে। তার কাছে জানা যায়, নিহত নারীর নাম ডলি আক্তার (২৮)। পরে ডলির বাবার বাড়ির ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহপূর্বক হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ছবি সংগ্রহ করে আসামির সঠিক পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামি প্রাথমিকভাবে ঘটনার দায় স্বীকার না করলেও পরবর্তীতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ফলে তিনি স্বীকার করেন নিহত ডলি আক্তার তার ৪র্থ স্ত্রী এবং পারিবারিক কলহের জের ধরে তাকে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দি অবস্থায় শ্রীমঙ্গল থানাধীন পশ্চিম বেলতলী গ্রামের উদনাছড়া সেতুর নিচে ফেলে দেন তিনি।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালিক জানান, আসামিকে মৌলভীবাজারের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জিকে/আরআর-০২