বড়লেখায় নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ

বড়লেখা প্রতিনিধি


ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২১
০৪:০৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২১
০৪:০৪ পূর্বাহ্ন



বড়লেখায় নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় লিপি আক্তার (১৯) নামের এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার চুকারপুঞ্জি গ্রাম থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে আজ শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

স্বামীর বাড়ির লোকজনের দাবি লিপি আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু লিপির মা লতিবা বেগমের অভিযোগ, স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তার গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে ঘরের ভিমের সঙ্গে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। 

স্থানীয় ও লিপির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নিজ দক্ষিণভাগ গ্রামের প্রবাসী আনছার আলীর মেয়ে লিপি আক্তারের সঙ্গে প্রায় ৩ মাস আগে চুকারপুঞ্জি গ্রামের প্রবাসী বাবুল মিয়ার ছেলে আব্দুল হানিফের বিয়ে হয়। লিপির মা লতিবা বেগম জানান, শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে লিপি তাকে মোবাইল ফোনে জানান আগের রাতে তার স্বামী তাকে মারধর করেছেন। সে সেখানে আর থাকবে না, বাবার বাড়িতে চলে আসবে। তিনি ঠিক আছে আসবে বলে মোবাইল স্বামী হাতে দিতে বলেন। কিন্তু লিপির স্বামী কথা বলেননি। এরপর ওই মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। জুমার নামাজের পর হঠাৎ আব্দুল হানিফ ফোনে জানান, লিপি আত্মহত্যা করেছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, তার মেয়ের স্বামী, তার বোন ও চাচা-চাচী মিলে পরিকল্পিতভাবে গলায় মোবাইলের চার্জারের তার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে ঘরের ভিমের সঙ্গে লিপি বেগমের লাশ ঝুলিয়ে আত্মহত্যার প্রচারণা চালান। তিনি মেয়ে হত্যার বিচার চান।

লিপির স্বামী আব্দুল হানিফের দাবি, তার স্ত্রী গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে ভিমের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন এবং সে সময় তিনি কোথায় ছিলেন এমন প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে পারেননি হানিফ।

বড়লেখা থানার এসআই হযরত আলী বলেন, ঝুলন্ত অবস্থায় লিপির আক্তারের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

 

এজে/আরআর-০৬