জুড়ীতে ৮০টি অবৈধ ভবন উচ্ছেদ, ১০ একর জমি উদ্ধার

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি


ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২১
০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন


আপডেট : ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২১
০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন



জুড়ীতে ৮০টি অবৈধ ভবন উচ্ছেদ, ১০ একর জমি উদ্ধার

ভারত থেকে নেমে আসা জুড়ী নদীর দুইপাশ দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা। নদীর দুইপাশের জায়গা দখলে নিয়ে ঘরবাড়ি ও দোকানপাট তৈরি করে বেদখল করে রেখেছিল দখলদাররা। এতে নদীর দুইপাশ ভরাট হয়ে নদীটি পরিণত হয়েছে খালে। অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদের জন্য অনেকবার দখলদারদের নোটিশ দেওয়া হলেও তাতে কর্ণপাত করেনি দখলদাররা।

আজ মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) মৌলভীবাজারের জুড়ী নদীর দুইপাড়ে গড়ে ওঠা এসব অবৈধ স্থাপনায় দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান চালিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রশাসন। এর আগে গতকাল সোমবার থেকে শুরু হয় এ উচ্ছেদ অভিযান।

মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের অভিযানে নদীপাড়ের একটি অংশে গড়ে ওঠা হাজী মাহমুদ আলী শপিং কমপ্লেক্সের তিন তলা ভবনের নদীর অংশ গুড়িয়ে দেওয়া হয়। দিনভর চলা দুইদিনের এ অভিযানে ছোট-বড় মোট ৮০টি ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এসব অভিযানে ১০ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী মনিরুল ইসলাম জানান, নদীর দুইপাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের খবর পেয়ে শত শত উৎসুক জনতা ভিড় জমান। উৎসুক জনতাকে সামাল দিতে পুলিশের অনেকটা বেগ পেতে হয়েছে। উচ্ছেদের সময় দখলকৃত অনেকেই খাস জমির বন্দোবস্ত কাগজ দেখালেও শেষরক্ষা হয়নি।

অভিযান পরিচালনাকালে উপস্থিত ছিলেন, জুড়ী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান রুহুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামান, সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আল-আমিন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামান জানান, জুড়ী নদীর দুইপাশ দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে একটি পক্ষ। নদীর জায়গা দখল করে অনেকেই স্থায়ী ভবন, ঘরবাড়ি ও দোকানপাট স্থাপন করে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে। অবৈধভাবে নদীর জায়গা দখল করে স্থাপনা গড়ে তোলায় নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ অনেকটা বিঘ্নিত হয়ে পড়ে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য ইতোমধ্যে অনেকবার দখলদারদের নোটিশ দেওয়ার পরও অনেকে স্থাপনা সরিয়ে না নেওয়ায় আমরা অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করছি। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

জুড়ী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল ইমরান রুহুল ইসলাম বলেন, 'যারা জুড়ী নদীর দুইপাড় দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলেছেন, তাদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। নদীর পাড় দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা দখলদারদের কোনোক্রমেই ছাড় দেওয়া হবে না।'

তিনি বলেন, 'নদীর সরকারি জায়গা উদ্ধারের পাশাপাশি কেউ যাতে পুনঃদখল করতে না পারে আমরা সেদিকে কঠোর নজর রাখব। আজকের অভিযানের মধ্য দিয়ে দুইদিনের অভিযান সমাপ্ত হয়েছে। পরবর্তীতে আরও অভিযান চালানো হবে।'

 

এসএইচ/আরআর-০৮