কানাইঘাট প্রতিনিধি
সেপ্টেম্বর ১২, ২০২০
১২:৫৯ পূর্বাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ১২, ২০২০
১২:৫৯ পূর্বাহ্ন
সিলেটের কানাইঘাট-জকিগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলার আওতাধীন রূপালী ব্যাংকের শিওরক্যাশ এর ডিস্ট্রিবিউটর সাহেদ আহমদ চৌধুরী কর্তৃক কানাইঘাট শিওরক্যাশ এজেন্টদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় শিওরক্যাশ এজেন্টের ব্যবসায়ীরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
আজ শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টায় কানাইঘাট প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে শিওরক্যাশ এজেন্ট আব্দুল কাহির বলেন, গত ১ জুলাই থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে জকিগঞ্জ উপজেলার কাজলশার গ্রামের মারুফ আহমদ চৌধুরীর পুত্র বিয়ানীবাজারস্থ এম এস কালার্স নামের প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী শিওরক্যাশ এর তিন উপজেলার ডিস্ট্রিবিউটর সাহেদ আহমদ চৌধুরী কানাইঘাট উপজেলার বিভিন্ন বাজারের শিওরক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের কাছ থেকে বিটুবি করে বিভিন্ন তারিখে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা রয়েছেন। অনেক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তার ব্যাংক একাউন্টের চেক দিয়ে নগদ ও বিটুবি করে টাকা নেয়। শিওরক্যাশ এর এজেন্টদের লাখ লাখ টাকা সাহেদ চৌধুরী কর্তৃক হাতিয়ে নেওয়ার কারণে শিওরক্যাশ এজেন্টরা উপজেলার প্রাথমিকে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি এবং করোনাকালীন সরকারের বিভিন্ন অনুদানের টাকা গ্রাহকদের দিতে পারছেন না। যার কারণে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে মারাত্মক সমস্যায় পড়তে হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল কাহির আরও বলেন, তাদের শিওরক্যাশ এজেন্টদের টাকা সাহেদ চৌধুরী হাতিয়ে নেওয়ার পর তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে গিয়ে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। কোনো ব্যবসায়ীর ফোনও ধরছেন না তিনি। প্রতিকার চেয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে কানাইঘাটের শিওরক্যাশ এজেন্টরা লিখিত দরখাস্ত দিয়েছেন। রূপালী ব্যাংকের শিওরক্যাশের কর্মকর্তাদের শরণাপন্ন হয়েও তারা কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। এমতাবস্থায় সাহেদ চৌধুরী কর্তৃক শিওরক্যাশ এজেন্টদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া টাকা উদ্ধার এবং তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সুষ্ঠুভাবে শিওরক্যাশ এজেন্ট মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম সচল রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন শিওরক্যাশ এজেন্টরা।
সংবাদ সম্মেলনে শিওরক্যাশ এজেন্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মো. ইয়াহিয়া, শিব্বির আহমদ, জাকারিয়া, সেলিম উদ্দিন, আব্দুস শহিদ, জিল্লুর রহমান, বদরুল ইসলাম, মাহমুদ হোসেন, হেলাল আহমদ, আলমাছ উদ্দিন, হেলাল উদ্দিনসহ আরও বেশ কয়েকজন।
এমআর/আরআর-০৫