শিপার আহমেদ, বিয়ানীবাজার
                        আগস্ট ২৬, ২০২০
                        
                        ০২:২৬ পূর্বাহ্ন
                        	
                        আপডেট : আগস্ট ২৬, ২০২০
                        
                        ০২:২৬ পূর্বাহ্ন
                             	
 
                        
             
    করোনাভাইরাসের প্রকোপে ক্ষতিগ্রস্ত সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার সাড়ে ৫ হাজার পরিবারের কাছে সরকারের পক্ষ থেকে নগদ আড়াই হাজার করে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু কার্যক্রম উদ্বোধনের তিন মাস পার হলেও উপজেলার সকল পরিবারের কাছে ওই অর্থ পৌঁছায়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত বিয়ানীবাজারে প্রায় ২ হাজার পরিবারের অনুকূলে আড়াই হাজার করে মোট ৫০ লাখ টাকা বিতরণ করতে পেরেছে সরকার। এখনও সাড়ে ৩ হাজারের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কাছে এ অর্থ পৌঁছায়নি।
এর আগে গত ১৪ মে এ অর্থ সহায়তা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথমদিকে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের বেশ কয়েকজন উপকারভোগীর হাতে এ টাকা পৌঁছানো হয়। গত কয়েক সপ্তাহ থেকে স্থানীয়ভাবে কেউ এ টাকা পায়নি বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, মোবাইল অ্যাকাউন্ট সচল না থাকায় কিংবা স্থগিত থাকায় বিয়ানীবাজার উপজেলার অনেকের কাছে অর্থ পাঠানো যায়নি। অনেকের কাছে প্রেরণ করা টাকা ফেরত চলে গেছে। প্রক্রিয়াটি প্রধানমন্ত্রীর কর্যালয়ের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে চলমান রয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, যোগ্য প্রার্থী বিবেচনার ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট কার্ডের বিপরীতে নিবন্ধনকৃত মোবাইল নম্বর দ্বারা সৃজিত মোবাইল ব্যাংক অ্যাকাউন্টকে বিবেচনায় নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে কিছু কিছু তথ্যে অসামঞ্জস্য থাকায় তা সংশোধনের জন্য মাঠপর্যায়ে তালিকাটি পুনরায় পাঠানো হয়। তথ্য পুনঃসংশোধনের ক্ষেত্রে উপকারভোগীর জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট কার্ডের বিপরীতে নিবন্ধনকৃত অথচ সচল নয় এমন কোনো মোবাইল নম্বর অর্থ বিভাগের অনুরোধে মাঠ প্রশাসনের উদ্যোগে সক্রিয় করা হয়।
এছাড়া উপকারভোগীর জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট কার্ডের বিপরীতে নিবন্ধনকৃত কোনো মোবাইল নম্বর না থাকলে মাঠ প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে উপকারভোগীর জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট কার্ডের বিপরীতে ১০ টাকা আমানত সম্বলিত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়। এসব কার্য গ্রহণের মাধ্যমে মাঠপর্যায় থেকে তথ্য পুনঃসংশোধন করে পাঠানোর কারণে এসব সুবিধাভোগীকে নগদ সহায়তা প্রদান করা সম্ভব হয়।
জানা গেছে, বিয়ানীবাজার উপজেলায় পৌরসভাসহ আরও ১০টি ইউনিয়ন থেকে ৫০০ জন করে মোট ৫ হাজার ৫০০ জনকে মনোনীত করে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। কয়েকবার তালিকা হালনাগাদের পরও প্রাপ্ত তালিকায় অনিয়ম ও অসঙ্গতি থাকায় অনেককে সম্পূর্ণভাবে বাদ দিয়েছে অর্থ বিভাগ। কারণ তাদের অনেকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, এনআইডি, মোবাইল ও জন্ম তারিখ সংক্রান্ত ভুল তথ্য দেওয়া ছিল।
এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী মাহবুব বলেন, 'ইউনিয়ন কার্যালয় থেকে প্রদত্ত তালিকা আমরা পুনরায় যাচাই-বাছাই করেছি। অনেকের মোবাইল নম্বর ও বিকাশ নম্বর না থাকায় তাদেরকে এগুলো ঠিক করার জন্য বলে দেওয়া হয়েছে। যারা এখনও টাকা পাননি, তারা পর্যায়ক্রমে টাকা পাবেন। যাদের কাছে এখনও টাকা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়নি তাদের তথ্য হালনাগাদ করা হচ্ছে।'
এসএ/আরআর-০৮