বড়লেখা প্রতিনিধি
জুন ২০, ২০২০
০৩:৩০ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জুন ২০, ২০২০
০৩:৩০ পূর্বাহ্ন
ব্যাংক কর্মকর্তা সাদেক হোসেন
'করোনায় আক্রান্ত হলেও আমি মোটেও আতঙ্কিত হইনি। বরং মনোবল ধরে রেখেছি। হোম আইসোলেশনে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেছি। প্রতিদিনই গরম পানি দিয়ে পাঁচবার গড়গড়া করতাম, ভাপ নিতাম। পাশাপাশি গরম পানি পানও করতাম। রং চা খেয়েছি। তেমন কোনো ওষুধ খাইনি। এছাড়া প্রচুর ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফলমূল খেয়েছি। এগুলো খেয়ে আল্লাহর রহমতে সুস্থ হয়ে উঠেছি। আজ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছি। এখন মনে হচ্ছে বন্দি জীবন থেকে মুক্তি পেয়েছি।'
এভাবেই মুঠোফোনে কথাগুলো বলছিলেন করোনাজয়ী ব্যাংক কর্মকর্তা সাদেক হোসেন (৩০)। তাঁর বাড়ি মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দাসেরবাজার ইউনিয়নের লঘাটি গ্রামে। তিনি পূবালী ব্যাংকের বড়লেখা শাখায় কর্মরত। তিনি ২৮ দিন বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিয়ে করোনামুক্ত হয়েছেন। নমুনা পরীক্ষায় পর পর দুইবার তাঁর করোনা নেগেটিভ এসেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তাঁকে ছাড়পত্র দিয়েছে।
জানা গেছে, ব্যাংকে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিজের অজান্তেই করোনায় আক্রান্ত হন সাদেক হোসেন (৩০)। এরপর তিনি স্বেচ্ছায় গত ২০ জুন নিজের নমুনা পরীক্ষা করান। যদিও তাঁর করোনার কোনো লক্ষণ ছিল না। গত ২৩ জুন নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পজিটিভ আসে। সাদেক যখন জানতে পারেন তাঁর করোনা পজিটিভ এসেছে। তবে তিনি ভেঙে পড়েননি। বাড়িতেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিদিন গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করেছেন, ভাপ নিয়েছেন, পাশাপাশি গরম পানি পানও করেছেন। রং চা খেয়েছেন। এছাড়া প্রচুর ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফলমূল খেয়েছেন। এতেই তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এরপর নমুনা পরীক্ষায় পর পর দুবার তাঁর করোনা নেগেটিভ এসেছে।
করোনাজয়ী সাদেক আহমদ বলেন, আক্রান্ত হওয়ার পর স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে নিয়মিত খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। এছাড়া অনেকেই খোঁজখবর নিয়েছেন, সাহস জুগিয়েছেন। তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
বড়লেখা উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রত্নদীপ বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, করোনা আক্রান্ত ব্যাংক কর্মকর্তা সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তিনি বাড়িতে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। নমুনা পরীক্ষায় দুইবার তাঁর করোনা নেগেটিভ এসেছে। আজ (গতকাল বৃহস্পতিবার) তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বড়লেখা উপজেলায় এখন পর্যন্ত ২৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
এজে/আরআর-০৭