সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
                        মে ১৯, ২০২০
                        
                        ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন
                        	
                        আপডেট : মে ১৯, ২০২০
                        
                        ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন
                             	
                        
            
    সুনামগঞ্জে করোনা জয় করে বাড়ি ফিরে গেলেন একই গ্রামের তিন তরুণ। তারা তিনজনই শ্রমিক। ভৈরবে কাজ করতেন সবাই। গত ৩০ এপ্রিল সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে করোনা রোগী হিসেবে তাদেরকে আইসোলেশনে নিয়ে আসা হয়েছিল। ১৮ দিনেই তারা সুস্থ হয়ে গেছেন।
এই তিন তরুণ ভৈরবে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন বলে স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। সেখান থেকেই তারা সংক্রমিত হয়ে এসেছিলেন বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দোয়ারারাবাজার উপজেলার পলিরচর গ্রামের আল আমিন (২০), আলমগীর (২০) ও ফয়েজ আহমদ (২২) নামের তিন যুবক ভৈরবে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে তারা হালকা সর্দি ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে আসেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তাদের নমুনা সংগ্রহ করে জানতে পারে এই তিন তরুণেরই কোভিড-১৯ পজেটিভ। তাদেরকে ৩০ এপ্রিল আইসোলেশনে নিয়ে এসে তিন পরিবারের আত্মীয়-স্বজনসহ তারা যাদের সঙ্গে মিশেছেন এমন ৭০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য বিভাগ। ওইদিন আইসোলেশনে নিয়ে আসার পর তাদেরকে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মো. জিয়াউর রহমান ও ডা. বিষ্ণুপদ পাল নিয়মিত চিকিৎসা দেন। প্রতিদিনই তাদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয় এবং নিয়মিত যথাসময়ে ওষুধ সেবন করানো হয়। হাসপাতালে চিকিৎসার আওতায় আসার পর তাদের উন্নতি হচ্ছিল। এর মধ্যে দুইবার আরও নমুনা সংগ্রহ করে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নমুনা সংগ্রহে তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় আজ সোমবার (১৮ মে) দুপুরে তাদেরকে সুস্থতার ছাড়পত্র দিয়ে বিদায় করা হয়।
সুস্থ হওয়া আল আমিন বলেন, আমরা ভৈরবে কাজ করতাম। সেখান থেকেই সর্দি ও জ্বর নিয়ে এসেছিলাম। দোয়ারাবাজার হাসপাতালের লোকজন পরীক্ষা করার পর আমাদের করোনা রোগ হয়েছে বলার পর তারাই আমাদেরকে সুনামগঞ্জ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। আজ আমরা সুস্থ হওয়ায় বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা তিনজনই পুরোপুরি সুস্থ এখন।
দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. দিলোয়ার হোসেন বলেন, এই তিন তরুণই ভৈরব থেকে সংক্রমিত হয়ে এসেছিলেন। তারা সেখানে শ্রমিকের কাজ করতেন। আমরা তাদেরকে সুনামগঞ্জ হাসপাতালে আইসোলেশনে পাঠিয়েছিলাম।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. জিয়াউর রহমান বলেন, দোয়ারাবাজার উপজেলা এই তিন তরুণ গত ৩০ এপ্রিল হাসপাতালে এসেছিলেন। আমরা প্রতিদিন তাদেরকে নিয়ম করে চিকিৎসা দিয়েছি। বয়স কম এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকায় তারা দ্রুতই সুস্থ হয়ে ওঠেন। আমরা তাদের চূড়ান্ত সুস্থতার ছাড়পত্র দিয়ে বিদায় জানিয়েছি।
এসএস/আরআর-৫