তাহিরপুর প্রতিনিধি
                        মে ১৭, ২০২০
                        
                        ০৭:০২ পূর্বাহ্ন
                        	
                        আপডেট : মে ১৭, ২০২০
                        
                        ০৭:০৩ পূর্বাহ্ন
                             	
                        
            
    সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের পল্লীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় কিশোরীসহ ২০জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ৫ জনকে আটক করেছে।
আজ শনিবার (১৬ মে) সকালে উপজেলার বাদাঘাট উত্তর ইউনিয়নের ধরুন্দ গ্রামের পরশ আলীর ছেলে মলাই মিয়া ও কাঞ্চনপুর গ্রামের আলী হোসেন কমান্ডারের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধরুন্দ গ্রামের পরশ আলীর ছেলে মলাই মিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ছিল কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত কডু মিয়ার ছেলে আলী হোসেন কমান্ডারের। আজ শনিবার সকালে মলাই মিয়ার কলেজ পড়ুয়া ছোটভাই সালমান শাহ্ বাদাঘাট বাজারে আসার সময় ধরুন্দ গ্রামের সামনের রাস্তায় আলী হোসেন কমান্ডারের ছেলে কামাল হোসেন ধারালো অস্ত্র নিয়ে সালমানের পথরোধ করে এবং তাকে মারপিট করে।
খবর পেয়ে মলাই মিয়ার আত্মীয়-স্বজনরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গিয়ে সালমানকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। পরে কামাল বাড়ি গিয়ে এ ঘটনা জানালে আলী হোসেন কমান্ডারের নেতৃত্বে তার আত্মীয় স্বজনসহ লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মলাই মিয়ার বাড়ির সামনে চলে গেলে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাব্যাপী ধরে চলে এ সংঘর্ষ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাটিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ উভয় গ্রুপের ৫ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আটকৃতরা হলেন, আলী হোসেন কমান্ডার (৫৫), জামাল মিয়া (৫৫), কবির হোসেন (২৬), ফরিদ মিয়া (৩৮)।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন, মলাই মিয়ার পক্ষের জামাল মিয়া (৫৫), জহির মিয়া (৩৫), কবির হোসেন (২৬), মোশারফ মিয়া (৩৫), জসিম উদ্দিন (৩৫), ফরিদ মিয়া (৩৮), নাছির মিয়া (৩৫), আবু বক্কর (৪২), আলাল মিয়া (২৮), দুলাল মিয়া (৪০) ও আলী হোসেন কমান্ডার পক্ষের আহতরা হলেন, আলী হোসেন কমান্ডার (৫৫) তার ছেলে কামাল মিয়া (৩৫), মাজেদা বেগম (১৬), অহিনুর (২৫), আক্কাছ আলী (৩৫), আইনুল মিয়াসহ (৩২) আরও ৫/৬জন।
এদের মধ্যে কামাল মিয়া ও মাজেদা বেগমকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পেরণ করা হয়েছে। অন্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আদিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এএইচএম-০১/এনপি-২০