অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন শঙ্কামুক্ত

সিলেট মিরর ডেস্ক


মে ১০, ২০২০
০৯:৫৯ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ১০, ২০২০
০৯:৫৯ অপরাহ্ন



অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন শঙ্কামুক্ত

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন এখন ‘শঙ্কামুক্ত’ বলে চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। গতকাল শনিবার (৯ মে) সংগঠনের সভাপতি শাহরিয়ার কবির ও সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের চিকিৎসা ও সেবায় ‘দ্রুত সেরে উঠছেন’ ইতিহাসের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন।

মা জাহানারা খান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রায় দুই সপ্তাহ পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন মুনতাসীর মামুন। করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে গত ৩ মে রাতে রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। পরদিন পরীক্ষায় তারও করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।

৬৯ বছর বয়সী অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের হার্টের সমস্যার পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন। ওই হাসপাতালে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ৭ মে মুনতাসীর মামুনকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়।

“দুই সপ্তাহ পর আজ তিনি ঠিকমতো মুখে খাবার খেতে পেরেছেন এবং কথা বলছেন। চিকিৎসকরা তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন,” বলা হয়েছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির বিবৃতিতে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের মুক্তিযুদ্ধের ওপর অনেক গবেষণাধর্মী কাজ রয়েছে। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবির আন্দোলনে সম্পৃক্ত এই অধ্যাপক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্যও দিয়েছেন। 

সাম্প্রদায়িকতা-মৌলবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন সক্রিয় রয়েছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিতেও। বর্তমানে কমিটিতে সহ-সভাপতির পদে আছেন তিনি।

একাত্তরের গণহত্যা নিয়ে গবেষণা করেছেন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। তার প্রচেষ্টায় ২০১৪ সালের ১৭ মে খুলনায় প্রতিষ্ঠা পায় গণহত্যা নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর। একাত্তরের ২৫ শে মার্চের কালোরাত্রির গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য লড়ছেন তিনি।

 

এনপি-০৪