জৈন্তাপুর প্রতিনিধি
মে ১০, ২০২০
০১:২১ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মে ১০, ২০২০
০১:২২ পূর্বাহ্ন
আটক প্রধান আসামি কয়েছ আহমদ
সিলেটের জৈন্তাপুরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত এক ছাত্রীকে খালার সহায়তায় খালু কর্তৃক ধর্ষণের ঘটনায় ওই খালা ও খালুকে আটক করেছে পুলিশ। আটক দু'জন পুলিশের কাছে ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জৈন্তাপুরে অনার্স ২য় বর্ষ ও সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটিতে এলএলবিতে অধ্যায়নরত ওই ছাত্রী মহামারি করোনার কারণে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। একই গ্রামের বাসিন্দা ও ২ নম্বর আসামি সুমি বেগম সম্পর্কে ভিকটিমের খালা হন। সেই সুবাদে ভিকটিম সরল বিশ্বাসে সুমি বেগমের বাড়িতে যাওয়া-আসা করতেন।
গত ২ মে আসামি সুমি বেগম ভিকটিমকে ইফতারের দাওয়াত দেন কিন্তু ভিকটিম যেতে রাজি ছিলেন না। সুমি বেগম ভিকটিমের পিতা-মাতাকে বললে ইফতারের কিছু আগে সরল বিশ্বাসে ভিকটিম আসামিদ্বয়ের বাড়িতে যান। ইফতার শেষে কিছু সময় বিশ্রাম করার পরে রাত ৮টার দিকে আসামি সুমি বেগম কৌশলে চায়ের সঙ্গে নেশাজাতীয় কিছু মিশিয়ে ভিকটিমকে পান করতে দেন। ভিকটিম সরল বিশ্বাসে চা পান করার পর অচেতন হয়ে পড়লে আসামি সুমি বেগমের সহায়তায় তার স্বামী কয়েছ আহমদ ভিকটিমকে ধর্ষণ করে এবং বিবস্ত্র অবস্থায় মোবাইলে ভিকটিমের ভিডিও ধারণ করে। ভিকটিমের জ্ঞান ফিরলে তিনি আসামি কয়েছ আহমদকে তার পাশে দেখতে পান। এ সময় ভিকটিম চিৎকার করলে আসামি কয়েছ আহমদ ভিকটিমের মুখ চেপে ধরে রাখে। ভিকটিম ধস্তাধস্তি করে মুক্ত হয়ে তার পিতা-মাতাকে সংবাদ দেন। সংবাদ পেয়ে তারা দ্রুত আসামিদ্বয়ের বাড়িতে যান এবং ঘটনা বিস্তারিত জানেন।
পরে ভিকটিম তার আত্মীয়-স্বজনের পরামর্শে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি বিভাগে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করেন মর্মে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী /২০০৩) এর ৯ (১) /৩০, তৎসহ ১৮৬০ সালের পেনাল কোডের ৩২৮ ধারা এবং ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮ (১) মামলা রেকর্ড করে (মামলা নং-০১, তারিখ- ০৪/০৫/২০২০)। মামলা রেকর্ডের পর আসামিদের ধরতে জৈন্তাপুর মডেল থানার পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। পরে র্যাব-৯ এর সহযোগিতায় গতকাল শুক্রবার (৮ মে) দিবাগত রাত দেড়টায় সিলেট থেকে কমলাবাড়ী মোকামটিলা গ্রামের রেনু মিয়ার ছেলে কয়েছ আহমদ (৩৫) ও তার স্ত্রী সুমি বেগমকে (৩০) আটক করা হয়।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামি এই জঘন্য ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় তার স্ত্রী তাকে সহযোগিতা করেছে বলে জানায়। আমরা তাদের আটক করে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছি। আদালতের কাছে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করব।
আরকে/আরআর