সিলেট মিরর ডেস্ক
মে ০৩, ২০২০
০৯:৩৬ অপরাহ্ন
আপডেট : মে ০৩, ২০২০
০৯:৩৬ অপরাহ্ন
করোনাভাইরাস সঙ্কটে কারাগারগুলোর ভার কমাতে প্রায় ৩ হাজার সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মুক্তি দেওয়া শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার (২ মে) নওগাঁ জেলা কারাগার থেকে ১১ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ (১) ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এই ২ হাজার ৮৮৪ জন বন্দির অবশিষ্ট কারাদণ্ড মওকুফ করা হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট কারাগারগুলোতে পৌঁছানোর পর তা কার্যকর শুরু হয়।
নওগাঁর কারাধ্যক্ষ শাহ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, যাদের সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে আসছে, তাদের মুক্তির বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথম দিনে মুক্তিপ্রাপ্তদের অধিকাংশই ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত বলে জানান তিনি। শনিবার প্রথম ধাপে ১৭০ জনকে মুক্তি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন। তিনি বলেন, “সরকার বিশেষ বিবেচনায় লঘুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রায় ৩ হাজার সাজাপ্রাপ্ত বন্দিকে মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।”
দেশে ৬৮টি কারাগারে ৯০ হাজারের মতো বন্দি রয়েছে, যা কারাগারগুলোর ধারণ ক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি। কোভিড-১৯ অতিমাত্রায় ছোঁয়াচে বলে কারাগারগুলোতে ঝুঁকির মাত্রা থাকে অত্যন্ত বেশি। সেজন্য বন্দির চাপ কমানোর উদ্যোগ নেয় সরকার। শনিবার দেশের বিভিন্ন কারাগারে থেকে ১৭০ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে কর্নেল আবরার বলেন, বাকিদের পর্যায়ক্রমে মুক্তি দেওয়া হবে। এই ১৭০ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ২৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৪৪ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগের ৪ জন কয়েদি রয়েছেন।
২ হাজার ৮৮৪ কয়েদিকে তিন ধাপে মুক্তি দিতে বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে। ছয় মাস থেকে এক বছর সাজাভোগকারী, তিন মাস ছয় মাস সাজাভোগকারী, তিন মাস পর্যন্ত সাজাভোগকারী কয়েদিরা মুক্তির এই সুযোগ পাচ্ছে।
এনপি-০৫