সিলেট মিরর ডেস্ক
এপ্রিল ১৯, ২০২০
১০:৩০ পূর্বাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ১৯, ২০২০
১০:৩০ পূর্বাহ্ন
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে অনিয়মিত হয়ে পড়া বিদেশি কর্মীদের বৈধতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাহরাইন। বাহরাইনে বিদেশি কর্মীদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার সদ্ব্যবহার করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশের প্রায় ৪০ হাজার কর্মী বৈধ হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়াসহ মূলত যথাযথ কাগজপত্রের জন্য অনিয়মিত হয়ে পড়া বাংলাদেশের কর্মীরা এ সুযোগ পেতে যাচ্ছেন।
বাহরাইনের কূটনৈতিক সূত্রগুলো আজ শনিবার (১৮ এপ্রিল) জানায়, বাংলাদেশের অনিয়মিত হয়ে পড়া কর্মীদের বৈধতার সুযোগ দিতে বেশ কিছুদিন ধরেই বাহরাইনকে অনুরোধ জানানো হচ্ছিল। করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বাহরাইনের বাদশাহ অনিয়মিত হয়ে পড়া বিদেশি শ্রমিকদের বৈধ করার ঘোষণা দেন। এ মুহূর্তে দেশটিতে নতুন করে কোনো বিদেশি কর্মী নেওয়া হচ্ছে না। তবে আগামী বছরের শুরুতে দেশটির অর্থনীতি পুরোদমে চাঙা হয়ে উঠলে সেখানে নতুন করে বিদেশি কর্মী নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
জানতে চাইলে বাহরাইনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম শনিবার গণমাধ্যমকে বলেন, বাহরাইন সরকার এ মাসের শুরুতে অনিয়মিত হয়ে পড়া ৫৫ হাজার বিদেশি কর্মীকে বৈধতা দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের অনিয়মিত হয়ে পড়া ৫০ হাজার কর্মীর মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার কর্মী বৈধ হওয়ার সুযোগ পাবেন। এ জন্য এরই মধ্যে দূতাবাস বাংলাদেশের কর্মীদের যথাযথভাবে আবেদনের জন্য কর্মীদের পরামর্শ দিয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের কর্মীরা যাতে সর্বোচ্চ সুফল পান, সে জন্য এখানকার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে।
তিনি জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বাহরাইন সরকার এরই মধ্যে আগামী জুন মাস পর্যন্ত বিদেশি কর্মীদের সব ধরনের মাশুল মওকুফ করেছে। নজরুল ইসলাম জানান, এ মুহূর্তে বাহরাইনে প্রায় দুই লাখের মতো বাংলাদেশের কর্মী কাজ করছেন। নানা কারণে তাঁদের মধ্যে অন্তত ৫০ হাজার অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন। বাংলাদেশের কর্মীরা মূলত নির্মাণশ্রমিক, গাড়িচালক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ ছাড়া প্রায় হাজার পাঁচেক বাংলাদেশি ছোটখাটো ব্যবসাও পরিচালনা করেন।
তিনি জানান, বাংলাদেশের কর্মীরা যাতে নিয়মিত হওয়ার সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেন, এ জন্য বাহরাইন পোস্টের মাধ্যমে তাঁদের জন্য নতুন পাসপোর্ট ইস্যু কিংবা পাসপোর্ট নবায়নের ব্যবস্থা করছে দূতাবাস। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের কর্মীরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে এলএমআরএর মাধ্যমে অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে বাহরাইন ফিন্যান্স কোম্পানিকে যুক্ত করছে।
এনপি-০২/বিএ-০২