বিজেএমসির অ্যাথলেটদের মানবেতর জীবনযাপন

খেলা ডেস্ক


এপ্রিল ১৮, ২০২০
০৩:৫০ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ১৮, ২০২০
০৩:৫১ পূর্বাহ্ন



বিজেএমসির অ্যাথলেটদের মানবেতর জীবনযাপন

বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) ক্রীড়াবিদরা দীর্ঘ ‍দিন ধরে বেতন না পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বার বার অফিসে গেলেও হতাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে তাদের। অর্ধাহার-অনাহারে দিন কাটছে বিজেএমসির ২৬৫ ক্রীড়াবিদ ও তাদের পরিবারের।

দীর্ঘ বিরতির পর ২০১১ সালে ফের ফুটবলে ফিরেছিল বিজেএমসি। গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ থেকে অবনমিত হয়ে যায় করপোরেট এ দলটি। এরপর ফুটবল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় তারা। আস্তে আস্তে অন্য ডিসিপ্লিন থেকেও হয় বিরাগভাজন। এখন কেবল অংশগ্রহণের জন্যই খেলেন বিজেএমসির পুরুষ ও নারী ক্রীড়াবিদরা। অনেক 'বদলি শ্রমিক' হিসেবে সাপ্তাহিক বেতনে খেলে দলটির সুনাম কুড়িয়েছেন অ্যাথলেটরা; কিন্তু তাতেও ভাগ্য বদলায়নি।দলকে সাফল্য এনে দিলেও অ্যাথলেটরা নয় মাসে ধরে বেতন পাচ্ছেন না। অর্থাভাবে বাড়ি চলে গেছেন অনেকেই। করোনায় অর্থকষ্টটা আরও বেড়ে গেছে। বেতনের জন্য হাহাকার করছেন ক্রীড়াবিদরা।

বিজেএমসির ফুটবল দলের স্ট্রাইকার মাহাদি হাসান তপু নিজের কষ্টের কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে যান, 'পুরো দলের প্রায় ৭৩ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে, যেখানে আমার প্রায় আড়াই লাখ। নয় মাস ধরে বেতন দেওয়া হচ্ছে না ফুটবলারদের। আমরা অনেকবার গিয়েছি অফিসে। সর্বশেষ ক'দিন আগেও গিয়েছিলাম। আমরা গেলেই বাইরে বসিয়ে রাখা হয়। খুব করুণ অবস্থার মধ্যে আছি। কাউকে বলতেও পারছি না।'

সাইক্লিংয়ের কোচ সেবিকা ম লও শোনালেন হতাশার কথা, '২৬৫ জন ক্রীড়াবিদের মধ্যে আশি শতাংশই বদলি খেলোয়াড়। বাকি ২০ শতাংশ খেলোয়াড়ের চাকরি স্থায়ী করা হয়েছে। জানুয়ারির ১১ তারিখের পর আর বেতন পাননি ক্রীড়াবিদরা। করোনাভাইরাসে সরকারের বিশেষ এ ছুটিতে বেতন পেলে বাঁচতে পারতাম আমরা। সাইক্লিস্টরা তো ফোন করে পাগল করে ফেলে, কখন বেতন পাবে।'

হাইজাম্পার আরিফুজ্জামান আকন্দ ক্রীড়াবিদ হিসেবে স্থায়ী চাকরি করলেও সর্বশেষ গত বছরের ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে বেতন পেয়েছেন, '২০১০ সাল থেকে খেলছি বিজেএমসিতে। বেতন পাই না অনেক দিন। শেষ পেয়েছি ৯ ডিসেম্বর, এক সপ্তাহের বেতন। এরপর থেকে আর পাইনি। আমরা ১৬ জন স্থায়ীভাবে আছি। তারপরও বেতন পাচ্ছি না। উপরন্তু জানুয়ারিতে চট্টগ্রামে জাতীয় অ্যাথলেটিকস মিটে খেলতে গিয়ে পা ভেঙে চলে এসেছি; কিন্তু তারা কোনো খবর নেয়নি।' বিষয়টা নজর আনলেও কথা বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেছিলেন বিজেএমসির কর্মকর্তারা।

 

 

এআরআর-৯/আরসি-১৫