নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন ফজলুর রহমান

সিলেট মিরর ডেস্ক


ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫
০৩:২২ অপরাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫
০৩:২৬ অপরাহ্ন



নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন ফজলুর রহমান

নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন ফজলুর রহমান


আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও ট্রাইব্যুনালের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফজলুর রহমান।

বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

এর আগে, ৩০ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও ট্রাইব্যুনালের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় আদালত অবমাননার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফজলুর রহমানকে শোকজ করা হয়। একইসঙ্গে আগামী ৮ ডিসেম্বর তাকে তার প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনজীবী সনদ নিয়ে ট্রাইব্যুনালে সশরীরে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

প্রসিকিউশনের আবেদনে চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দিয়েছিলেন

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ফজলুর রহমান আলাদা আইনজীবী নিয়োগ করে এখানে পিটিশন পাঠিয়েছেন। আনকন্ডিশনাল এপলজি দিয়ে আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। সেই পিটিশন হয়তো ৮ তারিখে শুনানি হবে। ফজলুর রহমান বলেছেন, যা কিছু বলেছেন তিনি ভুলে বলেছেন। তিনি আদালতে মার্সি চান।

৩০ নভেম্বর শুনানির শুরুতেই ফজলুর রহমানের পরিচয় জানতে চান ট্রাইব্যুনাল। তখন প্রসিকিউটর তার রাজনৈতিক পরিচয় তুলে ধরেন। তিনি সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী, সেই পরিচয়ও দেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামীম।

একপর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল বলেন, উনি কি অ্যাডভোকেট নাকি? ওকালতির সার্টিফিকেট আছে? কোর্ট-কাচারিতে আসছেন কোনোদিন? এলে এমন কথা কোনোদিনও বলতেন না। তখন প্রসিকিউটর এম এইচ তামীম বলেন, উনি (ফজলুর রহমান) সবসময় একটু বাড়িয়ে বলেন। উনি নাকি ৪৪ বছর ধরে আইন পেশায় রয়েছেন। কিন্তু আমরা ঘাটাঘাটি করে দেখেছি তিনি ১৯৯২ সাল থেকে প্র্যাকটিস করছেন। সেই হিসাবে ৩৩ বছর। তখন ট্রাইব্যুনাল প্রশ্ন তোলেন, উনি কি আসলেই প্র্যাকটিস করেন? প্র্যাকটিস করলে তো এমন কথা বলতে পারেন না।

ট্রাইব্যুনাল আরও বলেন, আইনের সমালোচনা করা যাবে। রায়ের সমালোচনা করা যাবে। বিচারকেরও সমালোচনা করা যাবে। কিন্তু রায় মানি না, এটা বলা শুধু আদালত অবমাননাই নয়, রাষ্ট্রদ্রোহিতাও। এরপর ট্রাইব্যুনাল আদেশ দেন।

পরে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক ব্রিফিংয়ে প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম বলেন, প্রসিকিউশন দুটি বিষয়ে আদালত অবমাননার আবেদন করেছে। একটি হচ্ছে, ফজলুর রহমান বলেছিলেন তিনি এই আদালত মানেন না। আরেকটি হচ্ছে, তিনি বোঝাতে চেয়েছেন একটি ইন্টারনাল অ্যারেজমেন্টের মাধ্যমে এই প্রসিডিংসটা (বিচার) চলছে।

মিজানুল ইসলাম বলেন, ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। কেন আদালত অবমাননার জন্য ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সেই রুল জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল। তাকে আগামী ৮ ডিসেম্বর সশরীরে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তার অ্যাকাডেমিক, বার কাউন্সিল সনদসহ উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি তাকে কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসন থেকে মনোনয়ন দিয়েছে। বীর মুক্তিযুদ্ধা ফজলুর রহমান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা।

জিসি / ০২