জকিগঞ্জ সংবাদদাতা
জুন ১৭, ২০২৫
০১:৫৩ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ১৭, ২০২৫
০১:৫৩ অপরাহ্ন
সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা নদীর ডাইক মেরামতসহ ১৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবর রহমানের স্মারকলিপি দিয়েছেন জনদাবী আদায় পরিষদের নেতৃবৃন্দ। সোমবার (১৬ জুন) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে নদী ভাঙন রোধে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি অন্যান্য জনগুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানের দাবি জানানো হয়।
এসময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের একজন কর্মকর্তা জনদাবী আদায় পরিষদের নেতৃবৃন্দের তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নদীর ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ এলাকায় জরুরি কাজ সম্পন্ন করার আশ্বাস প্রদান করেন
মতবিনিময় সভা ও স্মারকলিপি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনদাবী আদায় পরিষদের আহ্বায়ক মুফতি আবুল হাসান, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমদ, জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা কৃষক দলের আহবায়ক ইকবাল আহমদ তাপাদার, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম রোকবানী চৌধুরী জাবেদ, শ্রমিক মজলিস সিলেট জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুছ,জকিগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি মাসুক আহমদ, খেলাফত মজলিস জকিগঞ্জ উপজেলার সেক্রেটারি মাওলানা আলা উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন জকিগঞ্জ উপজেলার সেক্রেটারি মাওলানা জয়নুল ইসলাম, জকিগঞ্জ উপজেলা আঞ্জুমানে আল ইসলাহ নেতা মাওলানা ফদ্বলুর রহমান,পৌর আল ইসলাহ সভাপতি কাজী হিফজুর রহমান,খেলাফত মজলিস জকিগঞ্জ উপজেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম, খেলাফত মজলিস জকিগঞ্জ পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জুবায়ের আহমদ, বিএনপি নেতা প্রফেসর বাদল আহমদ, জকিগঞ্জ এস টিভির পরিচালক রহমত আলী হেলালী,সাংবাদিক কে এম মামুন, জেড টিভি নির্বাহী সম্পাদক সাংবাদিক আব্দুস শহীদ শাকির, ডেইলি জকিগঞ্জের সম্পাদক মিজানুর রহমান, ইউনাইটেড এসোসিয়েশন এর সহ-সভাপতি কয়েছ আহমদ, বিএনপি নেতা মুনিম আহমদ,ও ইসলামি আন্দোলনের নেতা মাওলানা আবু সুফিয়ান প্রমুখ।
জনদাবী আদায় পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানান, কুশিয়ারা ও সুরমা নদীর ভাঙনে জকিগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকা প্রতি বছর বিলীন হচ্ছে, যার ফলে বাংলাদেশ তার মানচিত্র হারাচ্ছে, অসংখ্য পরিবার গৃহহীন হচ্ছে এবং ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে। তারা দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানের দাবি জানান।
উপজেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান নেতৃবৃন্দের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার আশ্বাস দেন।
এআর-০১/এএফ-০৪