সিলেট মিরর ডেস্ক
অক্টোবর ১৩, ২০২৪
০৯:০১ অপরাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ১৩, ২০২৪
০৯:০১ অপরাহ্ন
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ডাকাতির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫ জন বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বরখাস্ত সদস্য।
আজ রবিবার (১৩ অক্টেবার) দুপুরে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ৪টার দিকে মোহাম্মদপুরের তিনরাস্তা মোড় সংলগ্ন ‘আবু কোম্পানির বিল্ডিং’ নামে পরিচিত একটি পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। যৌথ বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ওই ফ্ল্যাটে ঢুকে ৭৫ লাখ টাকা ও ৭০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করা হয়।
জানতে চাইলে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, গ্রেপ্তার ১১ জনের মধ্যে পাঁচজন বিভিন্ন বাহিনীর চাকরিচ্যুত সদস্য। বাকি তিনজন সাধারণ মানুষ। তাদের কাছ থেকে সোনার একটি ব্রেসলেট ও আংটি উদ্ধার করা হয়েছে।
ডাকাতির এ ঘটনায় কোনো বাহিনীর কেউ জড়িত থাকলে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান মুনীম ফেরদৌস।
এর আগে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মোহাম্মদপুর তিন রাস্তা মোড়ের কাছে একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী আবু বকর জানান, তারা বাসায় ঢুকে আমার বৈধ অস্ত্র থানায় জমা দেইনি বলে অস্ত্র নিতে আসার কথা জানায়। অস্ত্র থানায় জমা দেওয়া হয়েছে জানালেও তারা কোনো কথা না শুনে অস্ত্র খোঁজার নাম করে আলমারিগুলো খুলে তছনছ করে টাকা ও স্বর্ণালংকার নেয়।
তিনি জানান, পরে তারা ফ্ল্যাটের একপাশে আমার অফিসে যায় এবং একইভাবে অস্ত্র আছে বলে সিন্দুক ও আলমারি খুলে টাকা নিয়ে নির্বিঘ্নে চলে যায়। তারা প্রায় ঘণ্টাখানেক অবস্থান করে ভোর সোয়া ৪টার দিকে বের হয়ে যায়।
দুটি মাইক্রোবাস ও দুটি প্রাইভেটকার নিয়ে বাসার ভেতরে ২৫-৩০ জন ঢুকেছিল, বাইরেও তাদের লোকজন ছিল।
আবু বকর আরও বলেন, আমার বাসা-অফিস মিলে নগদ ৭৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং স্ত্রী, কন্যা, ছেলের বউয়ের প্রায় ৬০ ভরির বেশি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। নগদ টাকার মধ্যে বড় অংশ ছিল জমি বিক্রির টাকা।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান জানান, মুখে মাস্ক লাগিয়ে সেনাবাহিনীর পোশাক পরে আসা লোকজনকে দেখে দারোয়ান গেট খুলে দেয়। এরপর তারা তিনতলায় আবু বকরের ফ্ল্যাটে যায়। র্যাবের জ্যাকেট পরা ও সাদা পোশাকের লোকজনও ছিল তাদের সঙ্গে।
এএফ/০২