নিজস্ব প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪
০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪
০৪:০৫ পূর্বাহ্ন
বন্যা কমেছে। কিন্তু রেখে গেছে ক্ষত। সেই ক্ষত মুছতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে। তেমনি একজন জরিনা বেগম। মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার মধ্যভাগ গ্রামের জরিনার ঘর বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু সেটি ফের বসবাসের উপযুক্ত করবেন এমন উপায় তাঁর ছিল না। এরকম পরিস্থিতিতে তার পাশে দাঁড়িয়েছে দৈনিক সিলেট মিরর। ঘর মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে পত্রিকার পক্ষ থেকে।
শুধু জরিনা নন, তিনিসহ উপজেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি পরিবারের বসতঘর মেরামতের দায়িত্ব নিয়েছে সিলেট মিরর। পত্রিকার কর্মীদের একদিনের বেতন ও প্রকাশকের বিশেষ বরাদ্দ থেকে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
মৌলভীবাজারের প্রবীণ সাংবাদিক ও গবেষক আহমদ সিরাজের তত্ত্বাবধানে জেলায় বন্যায় প্রকৃতি ক্ষতিগ্রস্ত এমন দশটি পরিবারকে নির্বাচিত করা হয়। পরে গত সোমবার এসব পরিবারের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে সহযোগিতার অর্থ তুলে দেওয়া হয়।
বিশিষ্ট সমাজসেবী আলতাফ মাহমুদ বাবুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন দেশের খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক আকমল হোসেন নিপু।
সিলেট মিরর-এর সহযোগিতার অর্থ প্রাপ্তরা হলেন মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের রমিজ মিয়া, তাজ মিয়া, মধ্যভাগের জরিনা বেগম, আব্দুস ছোবহান, বনগাঁওয়ের লিটন মিয়া, আজাদ মিয়া, নাজমা বেগম, সুন্দর মিয়া, জয়নাল মিয়া এবং শ্রীপুরের মরিয়ম বিবি।
সহযোগিতায় পেয়ে স্বস্তির কথা জানালেন বনগাঁওয়ের লিটন মিয়া। তিনি বলেন, ‘বন্যার সময় অনেকেই ত্রাণ নিয়ে আসেন, নানাভাবে সহযোগিতা করেন। কিন্তু বন্যার পানি নেমে গেলে অনেকে মনে করেন দুর্ভোগ শেষ। কিন্তু তখন বড় রকম দুর্ভোগ রয়ে যায়। এই যে বসতবাড়ি বন্যার স্রোতে ভেঙে যায়। এতে আমার মতো অনেকের বাড়িতে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। বন্যার পরও যে খেয়াল করে আমাদের বসতঘর মেরামতে এগিয়ে এসেছে-এজন্য সিলেট মিরর-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’
অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক আকমল হোসেন নিপু বলেন, ‘সংবাদপত্রকে জাতির দর্পণ বলা হয়। সংবাদপত্রের কাজ সংবাদ তুলে ধরা। এই কাজটি সুন্দরভাবে করার পাশাপাশি সামজিক দায়বদ্ধতা থেকে সিলেট মিরর এরকম উদ্যোগ নিয়েছে সেটি অবশ্যই প্রসংশনীয়। আমরা মনে করি আগামী দিনগুলোতেও এভাবে নানা ভূমিকায় দেশের জন্য, মানুষের জন্য কাজ করবে সিলেট মিরর।’
পুরো উদ্যোগের তত্ত্বাবধানে থাকা মৌলভীবাজারের প্রবীণ সাংবাদিক ও গবেষক আহমদ সিরাজ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ‘সিলেট মিরর-এর কর্মীদের একদিনের বেতনের টাকা এবং পত্রিকা কর্তৃপক্ষের বনার্তদের পাশে দাঁড়ানোর যে উদ্যোগ তা একটি মহৎ কাজ। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরাই যাতে সহায়তা পায় সেটি নিশ্চিত করতে পত্রিকার সম্পাদক আমার সহযোগিতা চাইলে আমি সানন্দচিত্তে তাতে অংশ নেই। আজ যারা সহযোগিতা পেলেন তারা এবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তজন। এদের অনেকের ঘর ভেঙে গেছে। এখন তারা অন্তত ঘরটা মেরামত করে বসবাস করতে পারবে।’
এএফ/১০