কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি
আগস্ট ১২, ২০২৪
০৪:১৫ পূর্বাহ্ন
আপডেট : আগস্ট ১৩, ২০২৪
০৩:১০ পূর্বাহ্ন
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার এম সাইফুর রহমান ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম ও শহীদ স্মৃতি টুকের বাজার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ শাহ গোলাম নবীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্র-জনতা।
রবিবার (১১ আগস্ট) দুপুর ১ টায় শহীদ স্মৃতি টুকের বাজার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের মেইন গেইটের সামনে এবং দুপুর ২ টায় উপজেলার থানা বাজার পয়েন্ট থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে এ দাবি জানান তাঁরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশ সংস্কারের অংশ হিসেবে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার এই দুই প্রতিষ্ঠানেরও সংস্কার চান তারা। এ সময় এম সাইফুর রহমান ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম ও শহীদ স্মৃতি টুকের বাজার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ শাহ-গোলাম নবীর বিভিন্ন অনিয়ম ও অভিযোগ উল্লেখ করে তাদের পদত্যাগ দাবী করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নেতাদের ছত্রছায়ায় উক্ত কলেজ দু'টিকে দুর্নীতির আখড়া করে রেখেছিলেন। যার কারণে দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কলেজ সরকারীকরণ হলেও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কোন কলেজ সরকারী হয়নি। স্বৈরাচারী সরকারের পদত্যাগের পর থেকেই দুই শিক্ষক পলাতক রয়েছেন। যে সকল শিক্ষার্থীরা এই যৌক্তিক আন্দোলনে আহত হয়েছেন তাদের কারোরই খোঁজ নেননি। আমাদের শিক্ষক ছিলেন এই কথা বলতেও আমাদের ঘৃণা লাগে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মোহাম্মদ শাকিল আহমদ ও সোহাগ আদনান বলেন, আমাদের উপজেলার সুনামধন্য দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান খুব খারাপ হওয়ার পিছনে এই দুর্নীতিবাজ দুই অধ্যক্ষ দায়ী, তারা স্বৈরাচারীদের সাথে হাত মিলিয়ে কলেজ দু'টিকে লুটেপুটে খাচ্ছেন দীর্ঘদিন যাবত। ইতিপূর্বে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন হলেও তাদেরকে কিছুই করা যায়নি। তারা এতো শক্তিশালী ছিলো যে অন্যান্য শিক্ষকদেরকে লাঞ্চিত করে তাদের গায়ে হাত দিয়ে কলেজ থেকে বাহির করে দিয়েছে এরকমও ঘটেছে। আমরা ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি এ দুই শিক্ষক কে। তাঁরা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে আমরা কঠোর আন্দোলনের ডাক দেবো।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে ছাত্রদের একটি প্রতিদিন দল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবিদা সুলতানার সঙ্গে স্বাক্ষাৎ করে স্মারকলিপি প্রদান করে ও দুই অধ্যক্ষের দুর্নীতির বিষয়টি অবগত করে।
এম. সাইফুর রহমান ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মুর্শেদ আলম বলেন, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম একজন দুর্নীতিগ্রস্থ শিক্ষক। কলেজের বিভিন্ন সময়ে দুর্নীতি, লুটপাট করে খেয়েছেন। কলেজের শিক্ষকদের লাঞ্চিত করেছেন বিভিন্ন সময়ে। সর্বদা কলেজে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে রাখেন। আমরা চাই না অধ্যক্ষের জন্য কলেজে আর কোনো বিশৃঙ্খলা হোক। এজন্য আমরা শিক্ষকদেরও দাবি দুইজন অধ্যক্ষ পদত্যাগ করুক।
এএফ/০৬