আজ মিয়ানমার থেকে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি, অপেক্ষায় স্বজনরা

সিলেট মিরর ডেস্ক


এপ্রিল ২৪, ২০২৪
০২:১৮ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ২৪, ২০২৪
০২:১৮ অপরাহ্ন



আজ মিয়ানমার থেকে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি, অপেক্ষায় স্বজনরা

আজ মিয়ানমার থেকে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি, অপেক্ষায় স্বজনরা


মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি নাগরিক। সেখানে কারাভোগ শেষে আজ বুধবার দুপুর ২টার দিকে তাদের বহনকারী জাহাজ কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া বাঁকখালী নদীর মোহনায় বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। 

সকাল সাড়ে ১০টায় কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া বিআইডব্লিউটিএর ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, বাঁকখালী নদীর পাড়ে দুই বোনের জন্য অপেক্ষায় আছেন কলেজশিক্ষার্থী থোয়াই লা অং মারমা। প্রায় দুই বছর পর তার ২ বোন মিয়ানমারে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরছেন। বোনরা দেশে পৌঁছালে তিনি তাদের নিয়ে বাড়ি ফিরবেন।

কলেজশিক্ষার্থী থোয়াই লা অং মারমা বলেন, ‘দুই বছর আগে সীমান্ত লাগোয়া মন্দিরে গিয়েছিল দুই বোন ল্হাচিং মারমা (৩৬) ও এম্যানু মারমা (২৩)। সেখান থেকে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাদের ধরে নিয়ে যায়। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এখন তারা সরকারি সহযোগিতায় দেশে ফিরছেন।’

অপেক্ষা থাকা স্বজনদের একজন টেকনাফ সদরের রাজারছড়া এলাকার মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘আমার ছেলে নোমানকে ২০২২ সালের ২৩ জানুয়ারি হোয়াইক্ষ্যং উনছিপ্রাং এলাকার হোসাইন দালাল মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে মিয়ানমারের সামেলাতে নামায়ে দেয়। ৩ মাস ছেলের সন্ধান পাইনি। পরে জানতে পারি ছেলে মিয়ানমারের কারাগারে আছে। অনেকদিন পরে ছেলেকে দেখতে পাব।’

হোয়াইক্ষ্যং এলাকার বাসিন্দা রশিদ আহমদ বলেন, ‘আমার দুই ছেলে মুক্তার আহমেদ ও আল মামুনকে মালয়েশিয়া নেওয়ার কথা বলে মিয়ানমার সীমান্তে নামিয়ে দেয়। পরে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি আটক করে। দালাল মালয়েশিয়া পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে দুই লাখ টাকা নেন। ছেলের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে দালাল বিভিন্ন অজুহাত দেখায়। পরে দুই ছেলে মিয়ানমার থেকে কল করে জানায়, তারা কারাগারে আছে। ছেলেদের আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। তাদের আবার ফিরে পাব তা কল্পনাই করিনি।’ 

জানা যায়, মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সিতোয়ে কারাগার থেকে মঙ্গলবার ১৭৩  বাংলাদেশি নাগরিক দেশের উদ্দেশে রওনা হন। তাদের নিয়ে মায়ানমারের জাহাজ চিন ডুইন সিতোয়ে বন্দর ত্যাগ করে। আজ দুপুর নাগাদ জাহাজটি বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় পৌঁছাবে। এরপর বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের হস্তান্তর করবে। 

১৭৩ জনের মধ্যে ১২৯ জন কক্সবাজার, ৩০ জন বান্দরবান, সাতজন রাঙামাটির এবং খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার একজন করে রয়েছেন।

জিসি /০৩