সিলেট মিরর ডেস্ক
অক্টোবর ২৬, ২০২৩
০২:১০ অপরাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ২৬, ২০২৩
০২:১০ অপরাহ্ন
‘হাংরি জেনারেশন’ সাহিত্য আন্দোলনের জনক বলে খ্যাত কবি মলয় রায়চৌধুরী আর নেই। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরের দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মলয় রায়চৌধুরীর ফেসবুক আইডিতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি পোস্ট দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
১৯৬১ সালে এক ইশতেহার প্রকাশিত হয় পাটনায়। সেই থেকে শুরু হয় হাংরি আন্দোলন। যা ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ে বঙ্গসাহিত্যের আনাচে কানাচে। প্রতিষ্ঠান বিরোধী সেই আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল মূলত মলয় রায়চৌধুরীর হাত ধরেই। আবহমান ভারতীয় কবিতার স্রোতবতী শব্দের মাঝেও স্বতন্ত্র মূর্ছনায় উচ্ছ্বল হয়ে উঠেছিল হাংরি আন্দোলন। তাই তো ভারতীয় কাব্য সাহিত্যের বির্বতনের ইতিহাসে এক অনস্বীকার্য নাম হিসেবেই উচ্চারিত হবে মলয় রায়চৌধুরীর নাম।
জিওফ্রে চসারের একটি লেখা থেকে হাংরি শব্দটিকে বেছে নিয়েছিলেন মলয় রায়চৌধুরী। তিনি ছাড়াও সমীর রায়চৌধুরী, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, হারাধন ধাড়া (দেবী রায়) এবং পরবর্তী সময়ে বিনয় মজুমদার, সন্দীপন চক্রবর্তী, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের নামও যুক্ত হয়েছিল ওই আন্দোলনের সঙ্গে। সেই প্রজন্ম পরিচিত হতে থাকে ‘হাংরি প্রজন্ম’ নামে।
১৯৬৪ সালে ‘প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতার’ কবিতাটির জন্য রাষ্ট্রবিরোধী মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মলয়। তাকে কারাবরণও করতে হয়েছিল। পরবর্তী সময়েও লেখালেখি চালিয়ে গেছেন তিনি। সারা জীবনে লিখেছেন দুই শতাধিক গ্রন্থ।
কবিতার পাশাপাশি উপন্যাস, প্রবন্ধ, অনুবাদ রচনাও করেছেন। ‘শয়তানের মুখ’, ‘জখম’, ‘ডুব জলে যেটুকু প্রশ্বাস’, ‘নামগন্ধ চিৎকার সমগ্র’, ‘কৌণপের লুচিমাংস’, ‘মাথা কেটে পাঠাচ্ছি যত্ন করে রেখো’ তার উল্লেখযোগ্য রচনা।
বিতর্কও অবশ্য সঙ্গী ছিল মলয় রায়চৌধুরীর নামের সঙ্গে। ২০০৩ সালে সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
আরসি-০৩