নিজস্ব প্রতিবেদক
মে ২০, ২০২৩
০৮:১২ অপরাহ্ন
আপডেট : মে ২০, ২০২৩
১০:৩৫ অপরাহ্ন
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন টানা দুইবারের নির্বাচিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। পাশাপাশি তিনি সিসিক নির্বাচনকে প্রহসনের নির্বাচন আখ্যা দিয়ে তাতে অংশ না নিতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ শনিবার (২০ মে) বেলা সাড়ে তিনটায় নগরের ঐতিহাসিক রেজিষ্ট্রারি মাঠে জনতার সমাবেশ করে এই ঘোষণা দেন আরিফুল হক।
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘যাদের পরামর্শ আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করি, আমার মাতৃতুল্য শ্রদ্ধাভাজন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, আগামীর রাষ্ট্রনায়ক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এবং আমার মা ও আমার মুর্শিদ বারণ করেছেন এমন প্রহসনের নির্বাচন থেকে বিরত থাকতে।’ নগরবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘সিলেটের অলিতে গলিতে নানাপ্রান্তে লাখো জনতা যারা আমি নির্বাচন করব বলে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে ছিলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বারবার অনুরোধ জানিয়ে আসছেন, সেইসব লাখো জনতার সিদ্ধান্তকে আমি সম্মান জানাচ্ছি, কিন্তু এবার আপনারা সবাই আমাকে দয়া করে ক্ষমা করবেন।’
তিনি বলেন, ‘দেশরক্ষার আন্দোলনে শহীদ হওয়া সহযোদ্ধাদের রক্তের ফোটাকে পদদলিত করে আমি কখনোই সেই পথ মাড়াবো না। আমি খুন, গুম হওয়া সেই সকল সহযোদ্ধাদের আত্মত্যাগকে জলাঞ্জলি দিয়ে রক্তের সাগরে হাওয়া খেতে পারি না। আর তাই আপনাদের ভোটাধিকার আদায় তথা গণতন্ত্র এবং দেশকে রক্ষার স্বার্থে এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আগামীর রাষ্ট্রনায়ক দেশনায়ক তারেক রহমানের পরামর্শে এবং দলের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্পূর্ণ একমত পোষন করে দলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হিসেবে এই প্রহসনের নির্বাচন থেকে আমি সরে দাড়ালাম।’ এসময় তিনি সিলেটসহ সারাদেশের বিএনপির নেতাকর্মীসহ দেশপ্রেমিক সর্বস্তরের নাগরিককে এ সরকারের অধীনে কোনো ধরনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার উদাত্ত আহবান জানান।
জনসভায় বক্তব্যকালে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আমি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আর্দশে বিএনপির রাজনীতি শুরু করেছি। আমার জীবন থাকতে এই দলের ক্ষতি হয় এমন কোন সিদ্ধান্ত নিবো না। অনেকেই আমাকে উকিল আব্দুস সাত্তার বানানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আমি সেই সুযোগ কাউকে দিতে চাই না। এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন করার পরিবেশ নেই। বিশেষ করে ইভিএম নিয়ে নগরের মানুষজন জানে না। এটা ভোট কারচুপির মহা আয়োজন। আমি বাংলাদেশের সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান, আমার মা জননী ও আমার শ্রদ্ধেয় আলেম-উলামাদের পরার্মশে এই নির্বাচন বর্জন করলাম।
এসময় আরিফ বলেন, ‘অতীতে আপনারা আমার পাশে ছিলেন। আমি কারাগারে থাকা অবস্থায় আপনারা আমর পাশে এসে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আমি সেইসব কথা ভুলতে পারিনা। আমি আপনাদের সন্তান, আমি আপনাদের ভাই। আমি মেয়র না থাকলেও আপনাদের পাশে সবসময় থাকবো। আমাকে আপনারা ক্ষমা করে দিবেন।’
এরআগে তিনি দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নিজ বাসা কুমারপাড়া থেকে পায়ে হেঁটে হযরত শাহজালাল (র.) মাজারের উদ্দেশ্যে পৌছান। পরে মাজার জেয়ারত শেষে নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠে বক্তাতা করেন আরফি। এসময় রেজিস্ট্রারি মাঠে দলীয় নেতা-কর্মীদের ভীর লক্ষ করা যায়। সমাবেশ উপলক্ষে রেজিস্ট্রারি মাঠে কানায় কানায় পূর্ণ হয় নেতা-কর্মীদের পদচারনায়।
এএফ/০২