নিজস্ব প্রতিবেদক
এপ্রিল ১৪, ২০২৩
১১:০২ অপরাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ১৪, ২০২৩
১১:২৯ অপরাহ্ন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক, তারা কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় না ‘ তিনি বলেন, ‘দেশের আইন অনুযায়ী নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র৷’
আজ শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে সিলেটে মোমেন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে অসহায় ও দুস্থদের মধ্যে আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উন্নয়নে খুবই খুশি। তারা আমাদের উন্নয়নের সহযোগী হতে চায়। এজন্য আমাদের প্রতি তাদের বিশেষ নজর। আমরা একটা আদর্শ মডেল দেশ হতে পেরেছি।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাবের কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন এসময় বলেন, ‘তারা (যুক্তরাষ্ট্র) চায় আমাদের যে নির্বাচন তা যেন অবাদ ও নিরপেক্ষ হয়। তারা কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় না। আমাদের যে নিয়ম আছে, আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী তারা নির্বাচন চায়।’ সরকারের কার্যক্রমে যুক্তরাষ্ট্র সন্তুষ্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা কী কী করেছি স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য, ভোটার তালিকা তৈরি করেছি, স্বচ্ছ ব্যালট বক্স তৈরি করেছি, আমরা একটি স্বচ্ছ নির্বাচন কমিশন করেছি-এজন্য তারা খুশি হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘তারা চায় নির্বাচনের সময় যেন মারামারি না হয়। তাদের দেশেও এই জানুয়ারিতে কংগ্রেসের কয়েকজন লোক মরে গেছে। সেজন্য তারা চাচ্ছে বাংলাদেশ একটা আদর্শ নির্বাচন করে পৃথিবীকে দেখাবে যে আমরা খুব ভালো নির্বাচন করেছি।’
সবার সহযোগিতায় সুষ্ঠু ও অবাদ নির্বাচন সম্ভব জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ইন দ্য ল্যান্ড অব ম্যাজিক। আমরা যা চাই, তা করতে পারি। এক সময় রানা প্লাজায় ঝামেলা হলো। অথচ এখন পৃথিবীর মধ্যে দশটি সবচেয়ে ইকো ফ্র্যান্ডলি কারখানার আটটি বাংলাদেশে। তো তারা চায় আমরা একটা সুন্দর ও স্বচ্ছ নির্বাচন করি। তবে স্বচ্ছ নির্বাচন শুধু চাইলেই হবে না। সেজন্য সব দলের সক্রিয় সহযোগিতা এবং আন্তরিকতা দরকার।’ তিনি বলেন, ‘সরকার দল, বিরোধী দল, ভোটার যারা আছেন, প্রশাসনের লোক আছেন প্রত্যেকেরই আন্তরিকতায় শেখ হাসিনার সরকার অবাদ ও স্বচ্ছ নির্বাচন করতে বদ্ধ পরিকর। এজন্য অন্যান্য সব দলের সহযোগিতা দরকার। তাদেরকে আন্তরিকতা নিয়ে আসতে হবে। আর নির্বাচিত ছাড়া সরকার গঠনের অন্য কোনো পথ আমার জানা নেই।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু কিছু প্রয়োগ নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। এ নিয়ে কোনো আন্তর্জাতিক চাপ আছে কিনা এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে যেটা হয়েছে। আমরা বলেছি কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটার ব্যবহার ঠিকমতো হয়নি। দুনিয়ার সব দেশেই আইন আছে। যুক্তরাষ্ট্রে আরো কঠিন আইন। এখানে (বাংলাদেশে) যেটার ব্যত্যয় হয়েছে সেটি আমরা সংশোধন করব। তারা তাতে সন্তুষ্ট। তারা আইন পরিবর্তনের কথা বলেনি, বলেছে আইনের অপপ্রয়োগ যাতে না হয়।’