নিজস্ব প্রতিবেদক
এপ্রিল ০৭, ২০২৩
০৭:০৬ পূর্বাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ০৭, ২০২৩
০৮:২০ পূর্বাহ্ন
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা হয় মো. আব্দুর রাজ্জাকের।
সিলেটের কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট রোড প্রকল্পের ট্রাক চালকদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন প্রকল্পের সহকারী ম্যানেজার (মেকানিক্যাল) মো. আব্দুর রাজ্জাক। আহত রাজ্জাক অভিযোগ করেন গত সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় ট্রাক চালক মো. আব্দুল আজিজের নেতৃত্বে কয়েকজন দুর্বৃত্ত শহরতলীর সোনাতলায় থাকা স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের বেইস ক্যাম্পে অবৈধভাবে প্রবেশ করে মো. আব্দুর রাজ্জাককে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। এতে প্রকল্পের সহকারী ম্যানেজার গুরুতর আহত হন। এ সময় প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এগিয়ে আসলে সহকারী ম্যানেজার মো. আব্দুর রাজ্জাক প্রাণে বেঁচে যান। এ সময় রাজ্জাকের পকেটে থাকা ৮ হাজার ৩৫০ টাকা ছিনিয়ে নেয় হামলাকারী আব্দুল আজিজ।
পরে গুরুতর আহত মো. আব্দুর রাজ্জাককে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুর্বৃত্তদের রডের আঘাটে তার মাথা চৌচির হয়ে যায়। সেখানে ৮/৯টি সেলাই দিতে হয়। হাসপাতালের তৃতীয় তলায় ১১ নং ওয়ার্ডে কয়েক দিন চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেন আব্দুর রাজ্জাক। তিনি জানান প্রকল্পের সাইড গাড়ী চালানোর সুযোগে দীর্ঘদিন ধরে আব্দুল আজিজসহ চালকরা অবৈধভাবে ট্রাকের তেল বিক্রি করে আসছিল। এর প্রেক্ষিতে সম্প্রতি আব্দুল আজিজকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার উপর হামলা করা হয়।
পরে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) জালালাবাদ থানায় মো. আব্দুল আজিজকে প্রধান আসামি করে ৪ জনের নাম উল্লেখসহ ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে তিনি একটি অভিযোগ দাখিল করেন। আব্দুল আজিজ (৫৩) এসএমপির এয়ারপোর্ট থানার ছালিয়া গ্রামের ছাইদুর রহমানের পুত্র। অন্য অভিযুক্তরা হচ্ছেন জালালাবাদ থানার লামাকাজি গ্রামের আলা উদ্দিন (৪৫), গোয়াইনঘাট থানার সালুটিকর গ্রামের ছমির উদ্দিনের পুত্র গুলজার আহমদ (৪১) ও কোম্পানীগঞ্জ থানার ইসলামপুর গ্রামের মৃত শোহরাব আলীর পুত্র নয়ন মিয়া (৩৪)।
এএন/০১