সিলেট মিরর ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২২
০৭:২৪ অপরাহ্ন
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২২
০৭:২৪ অপরাহ্ন
শিগগিরই ভারতের নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রা আসতে চলেছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। মঙ্গলবার দেশটির সংসদে ২০২২-২৩ অর্থ-বছরের বাজেট উপস্থাপনের সময় এই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
সীতারামন তার মেয়াদের চতুর্থ বাজটে উপস্থাপন করতে গিয়ে বলেন, আগামী ২০২২-২৩ অর্থ-বছরে ভারতের নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রা আনবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)। ডিজিটাল এই মুদ্রার প্রচলনের ফলে দেশটির অর্থনীতি চাঙ্গা হবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি। পাশাপাশি ডিজিটাল সম্পদ বিক্রি অথবা অধিগ্রহণের আয়ের ওপর ৩০ শতাংশ কর আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন সীতারমণ।
দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধীনে ডিজিটাল মুদ্রার লেনেদেনের তথ্য ব্লকচেইন পদ্ধতিতে সংরক্ষিত থাকবে। ব্লকচেইন পদ্ধতিতে বিটকয়েনের মতো ভার্চুয়াল মুদ্রার লেনদেনের যাবতীয় তথ্য রাখা হয়। যা ইন্টারনেটে একটি নির্দিষ্ট ডেটাবেসের মধ্যে সংরক্ষিত থাকে। লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ এই ব্লক চেইনের তথ্য জানতে পারেন না। মূলত এই পদ্ধতিকেই ব্যবহার করে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ডিজিটাল মুদ্রা আনতে চলেছে।
ইতোমধ্যে দেশটির শীর্ষ এই ব্যাংক ডিজিটাল মুদ্রা বাজারে আনার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। নগদ টাকার সমমানের হবে এই ডিজিটাল মুদ্রা। এর আগে, গত বছরের জুলাইয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, তারা নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রা আনার কাজ শুরু করেছে।
সেন্ট্রাল ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি (সিবিডিসি) নামের ডিজিটাল এই মুদ্রার ব্যাপারে আরবিআইয়ের ডেপুটি গভর্নর টি রবি শঙ্কর বলেন, এটি নগদ মুদ্রার মূল্যমানের মতো একই হবে। নগদ মুদ্রার সাথে ডিজিটাল মুদ্রার লেনদেনও করা যাবে।
তবে গত এক দশকে বেসরকারিভাবে যেসব ভার্চুয়াল মুদ্রা বাজারে এসেছে তার সঙ্গে ভারতীয় ডিজিটাল মুদ্রা সিবিডিসির তুলনা করা যাবে না। বেসরকারি ভার্চুয়াল মুদ্রাগুলো অর্থের ঐতিহাসিক ধারণার সঙ্গে দ্বন্দ্ব তৈরি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন রবি শঙ্কর।
অনলাইনে বহুল ব্যবহৃত ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ন্ত্রণে ভারতের সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে একটি বিল আনার পরিকল্পনা থাকলেও বাস্তবে তা ঘটেনি। ক্রিপ্টোকারেন্সি অ্যান্ড রেগুলেশন অব অফিসিয়াল ডিজিটাল কারেন্সি বিল-২০২১ নামের ওই বিলে প্রাথমিকভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সির বেসরকারি অপারেটরদের নিষিদ্ধ এবং সিবিডিসি চালু করতে আরবিআইকে ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল।
বি এন-০২