বরিশালে ইউএনওর বাসভবনে হামলা: গ্রেপ্তার ১২ জনের জামিন

সিলেট মিরর ডেস্ক


সেপ্টেম্বর ০২, ২০২১
০৭:৫৫ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ০২, ২০২১
০৭:৫৫ অপরাহ্ন



বরিশালে ইউএনওর বাসভবনে হামলা: গ্রেপ্তার ১২ জনের জামিন

বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসায় হামলা ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের অভিযোগে করা পৃথক দুই মামলায় গ্রেপ্তার ১২ আসামির জামিন আবেদন মঞ্জর করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) বরিশালের সিনিয়র মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমান কারাগারে আটক ১২ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর জামিন মঞ্জুর করেন। 

এর আগে ২৬ আগস্ট ইউএনও ও পুলিশের করা পৃথক মামলায় গ্রেপ্তার ২১ জনের জামিন আবেদন করা হলে ৯ আসামিকে জামিন দেন বরিশালের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম বিল্লাহ। তবে দুটি মামলার প্রধান আসামি বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহক আদালতে গিয়ে জামিন নেননি।

আদালতে ১৮ আগস্ট রাতের ওই ঘটনায় কারাগারে আটক ১২ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর পক্ষে আদালতে জামিন আবেদন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস। জামিন আবেদনটি আদালতে উপস্থাপনের পর দুপুরে বিচারক মো. আনিসুর রহমান আবেদনটি শুনানির জন্য ২ সেপ্টেম্বর তারিখ ধার্য রাখেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী তালুকদার মো. ইউনুস বলেন, ১২ আসামির জামিনের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। আদালত আবেদন আমলে নিয়ে শুনানির জন্য ২ সেপ্টেম্বর তারিখ ধার্য করেছেন। সে অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার ১২ আসামীর জামিন মঞ্জর করেছে আদালত।

১৮ আগস্ট বরিশাল নগরের সিঅ্যান্ডবি সড়কে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে থাকা শোক দিবসের ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে রাতভর সংঘর্ষ হয়। এ সময় ইউএনওর সরকারি বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটে।

ইউএনও মুনিবুর রহমানের অভিযোগ, উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে শোক দিবস উপলক্ষে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুকের ব্যানার ও পোস্টার লাগানো ছিল। রাতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সেগুলো ছিঁড়তে যান। রাতে লোকজন ঘুমাচ্ছেন জানিয়ে তাঁদের সকালে যেতে বলা হয়। এ কারণে তাঁরা গালিগালাজ করেন। ইউএনওর বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা চালান। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

১৯ আগস্ট ইউএনও মুনিবুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে ২৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া ৭০ থেকে ৮০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। এদিকে সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহজালাল মল্লিক পৃথক মামলা করেন। দুটি মামলায় বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে প্রধান আসামি করা হয়।

সেদিনের ঘটনায় দুই মামলায় নাম উল্লেখ করে ১২২ জন এবং অজ্ঞাতনামা প্রায় ৫০০ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে গ্রেপ্তার হন ২১ জন। তাঁদের মধ্যে ৯ জন জামিনে আছেন। বাকিরা গ্রেপ্তার এড়াতে বরিশালের বাইরে ছিলেন। এরপর ২২ আগস্ট রাতে বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল হাসানের সরকারি বাসভবনে প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাদের বৈঠকে বিষয়টি সমঝোতা হওয়ার পর পরিস্থিতি শান্ত হলে দলের ওই নেতা-কর্মীরা এলাকায় ফিরে যান।

আরসি-১৬