জৈন্তাপুর প্রতিনিধি
জুলাই ২৬, ২০২১
০৮:১২ অপরাহ্ন
আপডেট : জুলাই ২৬, ২০২১
০৮:১২ অপরাহ্ন
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় প্রভাবশালী একটি পরিবারের একাধিক সদস্যেরা যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত আশরাফ আলীর পরিবার সদস্যদের উপর হামলা চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধার বৃদ্ধা স্ত্রী সহ দুই মেয়ে গুরুতর আহত করেছে।
স্থানীয়রা তাদেরকে আহত অবস্থায় জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়, জৈন্তাপুর উপজেলার ২নং জৈন্তাপুর ইউনিয়নের কদমখাল গ্রামের যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আশরাফ আলী স্ত্রী সালমা বেগমের ১৯৮৮ সালে ক্রয়কৃত ও দখলীয় চাষের জমিতে রবিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে হাল চাষে শ্রমিক নিয়োগ করলে বাঁধা দেয় একই গ্রামের আব্দুল আলীম দর্জির বড় ছেলে মুমিন মিয়া, ট্রাক চালক শ্রমিক নেতা জামাল মিয়া, মিজান গংরা।
ঐ দিন বিকাল ৫টায় পুনরায় বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আশরাফ আলী স্ত্রী সালমা বেগম, বড় মেয়ে জাহানারা বেগম ও ছোট মেয়ে শাহিদা আক্তার দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে বিবাদী আব্দুল আলীম দর্জির তার বড় ছেলে মুমিন মিয়া, ট্রাক চালক শ্রমিক নেতা জামাল মিয়া, মিজান গংরা।
তাদের সাথে যোগ দেয় আব্দুল আলীমের মেয়ে রাজিয়া, নাজমা, মেয়ের জামাই আক্কেল আলী, নাজমার ছেলে শামিম, নাজমার স্বামী ফুল মিয়া।
তারা সকলে মিলে যুদ্ধাহত পুরুষ বিহীন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের তিন নারী সদস্যদের পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে জমির কাঁদা মাটিতে ফেলে চলে যায়।
এসময় তাদের কানে ও গলায় থাকা সোনার দুল ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে জানা গেছে। গ্রামবাসীরা তাদের উদ্ধার করে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কোন পুরুষ সদস্য না থাকায় বর্তমানে তারা অসহায় অবস্থায় হাসপাতালে কাতরাচ্ছে।
মুক্তিযোদ্ধার ছোট মেয়ে শাহিদা আক্তার প্রতিবেদককে জানান, তিনি জৈন্তাপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
একই ভাবে হামালা চালিয়ে জায়গা দখল ও জমির ধান লুট করে নেয় হামলাকারীরা। পরবর্তীতে মামলা করা হলে আদালতে মুচলেকা দিয়ে ভবিষতে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হামলা না করার অঙ্গীকার দিয়ে তখন হামলাকারীরা রক্ষা পেয়েছিল।
অসহায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হলার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে জৈন্তাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড। দ্রুত সময়ের মধ্যে হামলাকারী প্রভাবশালী ট্রাক চালক শ্রমিক নেতা জামাল চক্রকে গ্রেপ্তার এবং আইনের মাধ্যমে কঠোর শাস্তির দাবী জানান।
জৈন্তাপুর মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এস.আই) শাহেদ আহমদ বলেন, ‘হামলার ঘটনার আহতদের পক্ষে একটি লিখিত অভিযোগ থানায় এসেছে। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’
আর কে/বি এন-০৪