সিলেটের ওসমানী হাসপাতালে শয্যার চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক


জুলাই ২০, ২০২১
০৩:০২ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ২০, ২০২১
০৩:০২ অপরাহ্ন



সিলেটের ওসমানী হাসপাতালে শয্যার চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি

সিলেট বিভাগে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ায় নগরের হাসপাতালগুলোতে চাপ বাড়ছে। ইতোমধ্যে প্রায় সব হাসপাতালের শয্যা পূর্ণ হয়ে গেছে। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শয্যার চেয়ে বেশি রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

জানা গেছে, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য ২০০টি শয্যা রয়েছে। এছাড়া হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য ৮টি আইসিইউ রয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত হাসপাতালের সব আইসিইউ শয্যা রোগীতে পরিপূর্ণ রয়েছে। সব মিলিয়ে ২৪০ জন রোগীকে এখানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ৪৪৩ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। ভর্তি রোগীর মধ্যে কেবলমাত্র সিলেটেই ভর্তি রয়েছেন ৩০৭ জন।  

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. আবুল কালাম আজাদ সিলেট মিররকে বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য শয্যা ২০০টি। কিন্তু বর্তমানে ২৪০ জন রোগী ভর্তি আছেন। এছাড়া ৮টি আইসিইউও শয্যা রোগীতে পরিপূর্ণ।’

এই অবস্থায় শয্যা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শয্যা বাড়ানোর মতো আমাদের কাছে আর জায়গা নেই। তবে নতুন আউটডোরে আরও ১০টি আইসিইউ শয্যা বাড়ানোর জন্য ভ্যান্টিলেটর ও যন্ত্রপাতি পেয়েছি। সেখানে গ্যাস লাইনসহ আরও অনেক কিছু লাগবে। ফলে এখানে আইসিইউ সেবা শুরু হতে কিছুটা সময় লাগবে।’

সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১০০ শয্যা বিশিষ্ট সিলেট করোনা আইসোলেশন সেন্টার শহীদ হাসপাতালে রোগী ভর্তি ছিলেন ৯৭ জন। অর্থাৎ মাত্র ৩টি শয্যা খালি রয়েছে। হাসপাতালটির ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) নাফি মাহদি বলেন, ‘হাসপাতালে প্রতিনিয়ত রোগীর চাপ বাড়ছে। শয্যা খালি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন রোগী এসে ভর্তি হচ্ছেন।’

শুধু সরকারি হাসপাতাল নয় মহানগরের বেসরকারি হাসপাতালেও বেড়েছে করোনা রোগীর চাপ। শয্যা বাড়িয়েও রোগীদের জায়গা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা। রোগী বাড়ায় হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেনের চাপও বেড়েছে। 

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘অক্সিজেনের একটি সমস্যা রয়েছেই। কারণ রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। তবে আমাদের হাসপাতালে এখনও সঙ্কট তৈরি হয়নি। মাঝেমধ্যে মজুত কমে যায়। যা আমাদেরকে চিন্তায় ফেলে দেয়।’

অক্সিজেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান স্পেকট্রার সিলেটের সরবরাহকারী মাসুদ আহমদ বলেন, ‘সারাদেশের মতো সিলেটেও সিলিন্ডার ও তরল অক্সিজেনের সঙ্কট আছে। কারণ এখন অক্সিজেনের চাহিদা অনেক বেশি। হাসপাতালগুলোতে রোগী বেশি ভর্তি হওয়ায় এই সঙ্কট তৈরি হচ্ছে।’

আরসি-০৪