জৈন্তাপুরে পশুর হাটে ভিড়, মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি


জুলাই ১৮, ২০২১
১১:২৫ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ১৮, ২০২১
১১:২৫ অপরাহ্ন



জৈন্তাপুরে পশুর হাটে ভিড়, মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

সিলেটের গ্রামীণ বাজারের মধ্যে সর্ববৃহৎ গরুর হাট বসেছে জৈন্তাপুর উপজেলার রাজবাড়ী মাঠে। করোনাভাইরাসের উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মধ্যে লকডাউন শিথিল থাকায় পশু কিনতে উৎসাহ দিচ্ছে বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি। 

শহর ছেড়ে প্রতিদিনই গ্রামীণ হাট-বাজারগুলোতে ছুটে আসছেন ক্রেতারা। স্বাস্থ্যবিধি ভুলে গিয়ে তারা পশু কিনছেন। স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে মাথা ঘামাতে দেখা যায়নি ক্রেতা-বিক্রেতাদের। ফলে উপজেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

শহরের তুলনায় উপজেলার গ্রামীণ পর্যায়ের বাজারগুলোতে কোরবানির পশুর চাহিদা বেড়েছে। জৈন্তাপুর উপজেলার ৩টি হাটে প্রতিদিন পশু ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। প্রায় প্রতিটি হাটে প্রচুর পশু এসেছে। 

রবিবার (১৮ জুলাই) জৈন্তাপুরে নির্দিষ্ট বাজার থাকার কারণে এবং ঈদুল আজহার জন্য শেষ বাজার থাকায় এটি রাজবাড়ী ফুটবল মাঠে স্থানান্তর করা হয়। গত বাজারের তুলনায় এদিন কয়েকগুণ বেশি গ্রামীণ পশু বাজারে উঠছে। দামও ক্রেতাদের নাগালে রয়েছে বলে জানা গেছে। 

হাটের ইজারাদারদের মধ্যে অন্যতম সিরাজুল ইসলাম বলেন, পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে সরকারি কিছু নির্দেশনা আছে। সেগুলো আমরা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু ক্রয়ের আহ্বান জানাচ্ছি।

জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরওয়ার বেলাল বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট-বাজার, শপিংমল, গণপরিবহন চলাচল করার কথা থাকলেও বেশিরভাগ ক্রেতা-বিক্রেতাগণ তা মানছেন না। ফলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত আজমেরী হক বলেন, উপজেলার প্রতিটি বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটিকে সরকারি নির্দেশনা কঠোরভাবে পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগ ক্রেতা-বিক্রেতাগণ সাধারণত স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। এজন্য সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। তারপরও আমাদের পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে সর্তকতা অবলম্বনের জন্য কয়েকটি টিম কাজ করছে।


আরকে/আরআর-০৭