নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ১৮, ২০২১
০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জুলাই ১৮, ২০২১
০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন
সিলেট করোরা আইসোলেশন সেন্টার শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার বেশি রোগী ভর্তি আছেন। এতে করে রোগীদের জায়গা দিতে এক কেবিনে দুই রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত হাসপাতালে মোট ভর্তি রয়েছেন ১০৬ জন রোগী। এর মধ্যে ৮৬ জন রোগী করোনা আক্রান্ত। আর ২০ জন রোগী করোনার উপসর্গ নিয়ে রয়েছেন। এছাড়া নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি রয়েছেন ১৬ জন রোগী। রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে অনেকটাই হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
সিলেটে গেল বছরের এপ্রিলে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর মে-জুনে শনাক্ত ও মৃত্যু বাড়তে শুরু করে। তবে আগস্টের পর থেকে তা আবার কমতে শুরু হয়। চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে সংক্রমণ ছিল নিয়ন্ত্রণে। তবে মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে আবারও বাড়তে থাকে সংক্রমণ। এপ্রিলের শেষ দিক থেকে বাড়তে শুরু করে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। আর জুনের শেষ দিকে তা বাড়তে শুরু করে আশঙ্কাজনক হারে।
রোগী বাড়ায় গত দুই সপ্তাহ ধরে সিলেটের সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালের আইসিইউ রোগীতে পরিপূর্ণ। অনেক রোগীর স্বজন আইসিইউর জন্য এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ঘুরছেন। বাধ্য হয়ে অনেককে সাধারণ বেডেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে রোগীরা নগরের হাসপাতালগুলোতে আসায় সিলেটের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে সাধারণ শয্যা পাওয়াও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৪৫৯ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। ভর্তি রোগীর মধ্যে কেবলমাত্র সিলেটেই রয়েছেন ৩৩৩ জন।
সিলেট শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মিজানুর রহমান সিলেট মিররকে বলেন, ‘রোগীর চাপ কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ধারণক্ষমতার বেশি রোগী ভর্তি রয়েছেন। আমাদের কেবিনে একই পরিবারের দুজন রোগী থাকছেন। বাধ্য হয়েই এমনটা করতে হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সামনে ঈদ আসছে। এ সময় সবাইকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। নয়তো পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।’
এনএইচ/আরসি-০১