কোম্পানীগঞ্জে নদীভাঙন রোধের দাবি

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি


জুলাই ১৬, ২০২১
০১:১৫ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুলাই ১৬, ২০২১
০১:১৫ পূর্বাহ্ন



কোম্পানীগঞ্জে নদীভাঙন রোধের দাবি

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ২ নম্বর পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে নদীভাঙন রোধের দাবি জানিয়ে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) বিকেল ৫টায় উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের চকবাজারে উপজেলা যুবলীগের সদস্য তোফাজ্জল হোসেন ও ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সিরাজুল হকের পরিচালনায় এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আমজাদ।

সমাবেশ ও মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কোম্পানীগঞ্জের ধলাই নদীর পাড় থেকে ইজারা বহির্ভুত মালিকানার জায়গা থেকে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করে রাজনগর, মোস্তফানগর, উত্তর ঢালারপাড়, দক্ষিণ ঢালারপাড়, চকবাজারসহ কয়েকটি এলাকাকে হুমকিতে ফেলেছে একটি চক্র। আমাদের সকলের ঐকবদ্ধ আন্দোলনের ফলে চক্রটি কয়েকদিন যাবত অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ রেখেছে। আমরা যদি পরিকল্পিতভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাই, তাহলে তারা কোনোভাবেই আমাদের দেওয়া সীমানার মধ্য থেকে বালু উত্তোলন করতে পারবে না। তাহলেই আমাদের কয়েকটি গ্রাম নদীভাঙন থেকে রক্ষা পাবে।

ভাঙন থেকে রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন, কোম্পানীগঞ্জ থানাসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন তারা।

তবে সমাবেশ ও মানববন্ধনের আশপাশে থাকা কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা এ প্রতিবেদককে জানান, ইজারা বহির্ভুত মালিকানার রেকর্ডিয় জায়গা থেকে জায়গার মালিকেরাই ফুটপ্রতি ৪ টাকা আদায় করে বালু বিক্রয় করছেন। তাদের মতে, ইজারা বহির্ভুত রেকর্ডিয় জায়গা থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে পারলেই নদী তীরবর্তী কয়েকটি গ্রাম নদীভাঙন থেকে রক্ষা পাবে। 

এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, সামাজিক ও রাজনৈতিক সর্বস্তরের মুরব্বিরা মিলে ধলই নদীর তীরবর্তী ইজারাদারদের বালু উত্তোলনের একটি সীমানা দিয়েছেন। আমরা ইজারাদার ও বালু ব্যবসায়ীদের কঠোরভাবে নির্দেশনা দিয়েছি সীমানার বাইরে থেকে বালু উত্তোলন করতে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রতিদিন পুলিশের দু'টি টিম দায়িত্বপালন করছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন আচার্য বলেন, ধলাই নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলো যাতে নদীভাঙনের কবলে না পড়ে সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে চুরি করে যখনই বালু উত্তোলনের খবর পাওয়া যায়, তখনই অভিযান চালিয়ে নৌকা আটক করে মামলা ও জরিমানা করা হয়।


এমকে/আরআর-১০