ওসমানীনগর প্রতিনিধি
জুলাই ১৩, ২০২১
০১:০২ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জুলাই ১৩, ২০২১
০১:০২ পূর্বাহ্ন
সিলেটের ওসমানীনগরে ২য় ধাপে করোনার টিকাদান শুরু হয়েছে। তবে উপজেলা পর্যায়ে সরকারি হাসপাতাল না থাকায় ওসমানীনগরবাসীকে বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে টিকা নিতে হচ্ছে। প্রথমদিন সোমবার (১২ জুলাই) টিকা নিয়েছেন ২২ জন।
এদিকে গতকাল রবিবার (১১ জুলাই) একদিনে ওসমানীনগরের ১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ইতোপূর্বে একদিনে এত রোগী শনাক্ত হয়নি। উপজেলায় এ পর্যন্ত ৬৪৬টি নমুনা পরীক্ষায় ৩১১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৮ জন, সুস্থ হয়েছেন ২৩২ জন ও চিকিৎসাধীন রয়েছেন মোট ৭১ জন।
এদিকে ওসমানীনগরের ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়া সর্দি-জ্বর-কাশিতে অনেকের মধ্যেই করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ১০-১৫ দিন ধরে টানা জ্বর, কাশি নিয়ে স্থানীয়ভাবে মানুষ চিকিৎসা গ্রহণ করলেও করোনার নমুনা পরীক্ষা বা টিকা গ্রহণে তেমন আগ্রহী নন। উপজেলা পর্যায়ে এ সুযোগ না থাকায় অনেকেই আগ্রহ হারাচ্ছেন।
প্রথম ধাপে টিকাদান শুরু হওয়ার ওসমানীনগরবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে ও টিকাদানে গতি আনতে গত ২৩ মার্চ বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অধীনে তাজপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওসমানীনগরের মানুষকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। ৪ মে পর্যন্ত এই উপ-কেন্দ্রে টিকা প্রদান করা হলেও পরবর্তীতে টিকা সংকটের কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়।
বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সোমবার থেকে ২য় ধাপে চীনের তৈরি সিনোফার্মের টিকাদান শুরু হলে প্রথমদিন টিকা গ্রহণ করেছেন ২২ জন। এর মধ্যে আছেন ওসমানীনগরের ৮ জন ও বালাগঞ্জের ১৪ জন। প্রথম ধাপে (গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মে পর্যন্ত) অক্সফোর্ডের টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছিলেন ৬ হাজার ৩৪ জন। তাদের মধ্যে ছিলেন ওসমানীনগরের ৩ হাজার ৭১ জন। ২য় ডোজ গ্রহণ করেছেন মোট ৪ হাজার ৪৯৩ জন। ২য় ডোজ গ্রহণকারীদের মধ্যে ওসমানীনগরের ২ হাজার ৩৯৫ জন রয়েছেন।
বালাগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ওসমানীনগরে অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডা. এস এম শাহরিয়ার বলেন, উপজেলা পর্যায়ে চীনের তৈরি সিনোফার্মের টিকা প্রদান শুরু হয়েছে। সুরক্ষা অ্যাপে নাম রেজিস্ট্রেশন করিয়ে তারপর টিকা নিতে হবে। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কেউ টিকা নিতে পারবেন না। ওসমানীনগরের লোকজনের কষ্টের কথা ভেবে আমরা তাজপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আবারও টিকাদানের উদ্যোগ নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু উর্ধ্বতন মহল থেকে কঠোরভাবে বলে দেওয়া হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়া আর কোথাও টিকাদান করা যাবে না। সার্ভার স্লো থাকায় প্রথমদিন মোট ২২ জনকে টিকা প্রদান করা হয়েছে। ২য় পর্যায়ে উপজেলায় সাড়ে ৪ হাজার ডোজ টিকা মজুদ রয়েছে। প্রয়োজনে আরও বরাদ্দ আনা যাবে। টিকার মেয়াদ রয়েছে ২০২৩ সাল পর্যন্ত।
ইউডি/আরআর-১৩