লোভাছড়া পাথর কোয়ারি পরিদর্শনে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি

কানাইঘাট প্রতিনিধি


জুলাই ১২, ২০২১
০১:০০ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুলাই ১২, ২০২১
০১:০০ পূর্বাহ্ন



লোভাছড়া পাথর কোয়ারি পরিদর্শনে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি

সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী লোভাছড়া পাথর কোয়ারি পরিদর্শন করেছেন পুলিশের সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ পিপিএম (বার)। তিনি রবিবার (১১ জুলাই) বেলা দেড়টার দিকে নদীপথে নৌকা নিয়ে লোভাছড়া পাথর কোয়ারি এলাকা ঘুরে দেখেন এবং পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক জব্দকৃত পাথরের স্তুপগুলো পরিদর্শন করেন। এছাড়া ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকা ইজারাবিহীন কোয়ারিতে অনেক সময় অবস্থান করে বাস্তব চিত্র দেখেন।

পরিদর্শনকালে কোয়ারির বেশ কয়েকজন পাথর ব্যবসায়ী তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি তাদের বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শোনেন। এ সময় ব্যবসায়ীরা বলেন, করোনাকালীন ২০২০ সালের ১৫ জুলাই ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণ দেখিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট এর কর্মকর্তারা তাদের ১ কোটি ঘনফুট পাথর জব্দ করেন। কিন্তু ১ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও জব্দকৃত পাথরের কোনো সুরাহা এখন পর্যন্ত হচ্ছে না। এক্ষেত্রে তারা পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।

পাথর ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, কোয়ারিতে জব্দকৃত পাথর অপসারণ বা বিক্রি করা হচ্ছে না। একটি মহল এ নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।

এ সময় ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকার সবসময় শ্রমজীবি মানুষ ও ব্যবসায়ীদের কল্যাণের জন্য কাজ করে থাকে। আপনাদের সমস্যার বিষয়ে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব, যাতে করে কোয়ারির জব্দকৃত পাথরের সমাধান হয়। নানা কারণে আমি লোভাছড়া পাথর কোয়ারির বর্তমান অবস্থা ও জব্দকৃত পাথর কী অবস্থায় রয়েছে তা স্বচক্ষে দেখতে এসেছি। সরকারের অবস্থান পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিকের বিপক্ষে নয়। আমরা আপনাদের পাশে আছি। যেহেতু কোয়ারিতে রাখা পাথর জব্দ করা হয়েছে, সেটি এখন প্রশাসনিকভাবে সমাধান করতে হবে। প্রশাসনিকভাবে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কোয়ারিতে জব্দকৃত পাথর পরিবহন, বিপণন কোনো অবস্থাতেই করা যাবে না এবং কোয়ারি এলাকায় কোনো ধরনের স্টিলবডির ইঞ্জিন নৌকা রাখা যাবে না। পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি কোয়ারি এলাকায় সবসময় অবস্থান করে পাথর পাহারা দিচ্ছে। এতে করে পুলিশের দৈনন্দিন সেবাও কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।

কোয়ারি পরিদর্শনকালে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ পিপিএম বারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি গিয়াস উদ্দিন, অতিরিক্ত ডিআইজি বিপ্লব বিজয় তালুকদার, সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম, সিলেট রেঞ্জের পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা, কানাইঘাট সার্কেলের এএসপি আব্দুল করিম ও কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম পিপিএম।

এর আগে ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ কানাইঘাট থানায় গেলে তাকে গার্ড অব অনার প্রদানসহ ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ওসি তাজুল ইসলাম পিপিএমসহ থানার পুলিশ কর্মকর্তারা। বিকেল ৫টায় তিনি থানার পুলিশ কর্মকর্তাসহ সকল সদস্যদের নিয়ে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নের পাশাপাশি সবধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দমন ও মাদক চোরাচালান বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স নীতি গ্রহণসহ সকল পুলিশ কর্মকর্তাদের আরও নিষ্ঠা ও সত্যতার সঙ্গে দায়িত্বপালন করে পুলিশি সেবা তাৎক্ষণিক জনসাধারণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার নিদের্শনা প্রদান করেন।


এমআর/আরআর-০৮