ক্ষতির শঙ্কায় বিশ্বনাথের গরু খামারিরা

মোহাম্মদ আলী শিপন, বিশ্বনাথ


জুলাই ০৮, ২০২১
০৯:২৪ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ০৮, ২০২১
০৯:২৪ অপরাহ্ন



ক্ষতির শঙ্কায় বিশ্বনাথের গরু খামারিরা

সিলেটের বিশ্বনাথে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মুনাফা লাভের আশা দেখলেও চলমান লকডাউনের কারণে মাথায় হাত পড়েছে গরু খামারিদের। ঈদের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই শঙ্কা ঘিরে ধরছে খামারিদের। করোনা সংক্রমণের কারণে গত বছরেও ব্যবসা করতে পারেননি স্থানীয় গরু খামারি ও ব্যবসায়ীরা। এবারও যদি একই অবস্থা হয়, তাহলে পথে নামা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না বলে মনে করেন অনেক খামারি। তবে অনেক খামারি অনলাইনে গরু বিক্রি করে আপাতত ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন।

এদিকে, গত বছরের মতো এ বছরও এলাকা প্রবাসীশূন্য রয়েছে। প্রতিবছর কোরবানির ঈদ এলে এলাকার অনেক প্রবাসী সপরিবারে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ছুটে আসতেন দেশে। কিন্তু গত বছর ও এ বছর করোনা সংক্রমণের কারণে প্রবাসীরা কোরবানির ঈদে দেশে আসতে নারাজ। 

এলাকার কয়েকজন খামারির সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, কোরবানির ঈদকে ঘিরে প্রতিবছরের মতো এবারও গরু প্রস্তুত করেছেন তারা। বিক্রির জন্য অনেক স্থানে ইতোমধ্যে কোরবানির হাট বসতে শুরু করেছিল। তবে গত বছরের মতো এবারও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনাভাইরাস। বিশেষ করে এবার করোনার ভয়াবহ ডেল্টা ধরন সারা দেশে ছাড়িয়ে পড়ায় লকডাউন দিয়েছে সরকার। এতে শেষ পর্যন্ত কোরবানির পশু বিক্রির অবস্থা কী দাঁড়ায়, তা নিয়ে খামারিদের মধ্যে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। করোনায় সঠিক মূল্য না পাওয়া এবং ক্রেতা না থাকায় কোরবানির গরু বিক্রি নিয়ে আশঙ্কায় আছেন খামারিরা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বনাথে ছোট-বড় মিলে প্রায় ২০০ জন খামারি আছেন, যারা প্রতিবছর গরু পালন করে কোরবানির সময় বিক্রি করে থাকেন। কিন্তু এ বছর মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের কাজ না থাকায় তাদের হাতে অর্থ নেই। তাই গরু কোরবানির জন্য ক্রেতাদের মধ্য তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। ফলে হতাশার মধ্যে দিনযাপন করছেন খামারিরা। 

এ ব্যাপারে মা এগ্রো ফার্ম এর পরিচাক নূর উদ্দিন বলেন, প্রতিবছরের মতো এ বছরেও আমার খামারে ৪০টি গরু আছে, যা কোরবানি ঈদে বিক্রি করব বলে রেখেছি। সামনে ঈদ, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ক্রেতা পাচ্ছি না। অথচ অন্যান্য বছরের এই সময়ে আমরা বেশিরভাগ গরু বিক্রি করে ফেলতাম। কিন্তু এবার এখন পর্যন্ত মাত্র দুটি গরু বিক্রি করেছি। এবার গরু বিক্রি করতে পারব কি না সেটা নিয়ে খুবই চিন্তায় আছি। 

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তা ডা. আব্দুস শহীদ বলেন, মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে উপজেলার খামারিরা চরম বিপাকে পড়েছেন। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে 'বিশ্বনাথ গরুর হাট' নামের একটি পেইজ খোলা হয়েছে। এই পেইজে খামারিরা গরুর ছবি ও দাম লিখে দিয়ে তাদের গরু বিক্রি করতে পারবেন। আমরা সার্বক্ষণিক গরুর খামারিদের খামারে গিয়ে গরু পালনের বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করে আসছি।


এমএ/আরআর-০১