নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ০৬, ২০২১
০৬:০৮ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জুলাই ০৬, ২০২১
০৬:০৮ পূর্বাহ্ন
টানা চারদিন বন্ধ থাকার পর গতকাল সোমবার (৫ জুলাই) থেকে খুলেছে ব্যাংক। প্রথম দিনই সিলেট নগরের বিভিন্ন ব্যাংকের সামনে ছিল গ্রাহকদের দীর্ঘ লাইন। স্বাস্থ্যবিধিও ছিল উপেক্ষিত।
সোমবার সকাল থেকে নগরের বিভিন্ন ব্যাংকের সামনে গ্রাহকদের লম্বা লাইন দেখা যায়। একজন আরেকজনের গা ঘেঁষে দাঁড়াতে দেখা যায়। বেশিরভাগই আসেন টাকা জমা দিতে ও তুলতে। এছাড়া বিভিন্ন বিল জমা দিতেও অনেকে ভিড় জমান। ভিড় এড়াতে একটা সময় বিল গ্রহণ বন্ধ করে দেয় ব্যাংকগুলো। গ্রাহকরা বলছেন, নগরে ব্যাংকগুলোর একটিমাত্র শাখা খোলা থাকায় তারা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
নগরের দরগা গেইট এলাকায় পূবালী ব্যাংকের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা সাদ্দাম হোসেন সিলেট মিররকে বলেন, ‘টাকা জমা দিতে এসে প্রায় দুঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি। বেলা দেড়টায় ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাবে। এরমধ্যে কাজ সারতে না পারলে আজ আর হবে না।’
দক্ষিণ সুরমা থেকে টাকা তুলতে ব্যাংকে আসেন শামীম আহমদ। তিনি বলেন, ‘কোরবানির পশু কিনতে টাকা তুলতে ব্যাংকে এসেছি। দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। অন্যান্য শাখা খোলা থাকলে এত দীর্ঘ লাইন তৈরি হত না। লম্বা লাইনের কারণে স্বাস্থ্যবিধিও নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না।’
দেশব্যাপী চলা কঠোর বিধি-নিষেধের প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা অনুসারে, সীমিত পরিসরে ব্যাংক ব্যবস্থা পরিচালনার লক্ষ্যে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অত্যাবশ্যকীয় বিভাগগুলো যথাসম্ভব সীমিত লোকবলের মাধ্যমে খোলা রাখা হবে। এ ছাড়া ব্যাংকের প্রিন্সিপাল/প্রধান শাখা এবং সব বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা (এডি শাখা) খোলা থাকবে। তবে লোকবল থাকবে সীমিত। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে প্রতিটি জেলা সদরে ও উপজেলায় একটি করে শাখা খোলা থাকবে। অন্যান্য ব্যাংকের ক্ষেত্রে প্রতিটি জেলা সদরে একটি শাখা খোলা রাখতে হবে এবং জেলা সদরের বাইরে ব্যাংক ব্যবস্থাপনার বিবেচনায় অনধিক দুটি শাখা খোলা রাখা যাবে।
বিধিনিষেধ চলাকালে যেসব শাখা বন্ধ থাকবে, সেসব শাখার গ্রাহকেরা খোলা রাখা শাখার মাধ্যমে সেবা পাবেন। বন্ধ শাখার গ্রাহকদের গ্রাহক সেবাপ্রাপ্তি বিষয়ে অবহিত করতে শাখার দৃশ্যমান স্থানে বিজ্ঞপ্তি প্রদর্শন করতে হবে।
এনএইচ/আরসি-০৫