বিয়ানীবাজারে অপ্রয়োজনে বের হতে পারেননি কেউ

বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি


জুলাই ০২, ২০২১
১২:৪১ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুলাই ০২, ২০২১
১২:৪১ পূর্বাহ্ন



বিয়ানীবাজারে অপ্রয়োজনে বের হতে পারেননি কেউ

কঠোর লকডাউনে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার প্রবেশপথসহ উপজেলার মোট ৫টি জায়গায় বসেছে পুলিশের চেকপোস্ট। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে রাস্তায় দেখা গেলে আটকানো হয়েছে এসব চেকপোস্টে। ৫টি চেকপোস্ট হলো- বিয়ানীবাজার পৌরশহরের কলেজ রোড পয়েন্ট, সিলেট-বারইগ্রাম সড়কের আলীনগর, চারখাই বাজারের শহীদ নাহিত চত্বর, বারইগ্রাম বাজার ও কানলী ব্রিজ। এসব চেকপোস্ট ছাড়াও উপজেলাজুড়ে পুলিশের দুটি মোবাইল টিম সক্রিয় রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে আগামী বুধবার (৭ জুলাই) মধ্যরাত পর্যন্ত সরকার ঘোষিত সপ্তাহব্যাপী লকডাউন বাস্তবায়নে বিয়ানীবাজার পৌরশহরসহ উপজেলায় সক্রিয় রয়েছেন দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট। তারা হলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশিক নূর এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুশফিকীন নূর।

কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশ, বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। সকাল থেকে বিয়ানীবাজার উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। জরুরি পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়া সবধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। কেবল অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে যানবাহন চলাচল করেছে। রাস্তায় মানুষের চলাচল সীমিত ছিল।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বৃহস্পতিবার থেকে দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পৃথক টিম একযোগে সকাল সাড়ে ১০টায় অভিযান শুরু করছে। এ অভিযানে অংশ নিচ্ছেন পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা।

বিয়ানীবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান বলেন, বিয়ানীবাজার পৌরশহরসহ উপজেলায় সর্বমোট পাঁচটি প্রবেশমুখে পুলিশের চেকপোস্ট থাকছে। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে পুলিশের একটি টিম সহযোগিতা করছে। পাশপাশি উপজেলাজুড়ে পুলিশের দুটি মোবাইল টিম সক্রিয় রয়েছে।

বিয়ানীবাজার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশিক নূর বলেন, বিনা কারণে কেউ ঘর থেকে বাইরে বের হলে এবং বিধিনিষেধ অমান্য করলে তাকে কঠোর আইনি ঝামেলায় পড়তে হবে। এবার রিকশা ব্যবহার করা গেলেও কোনো ইঞ্জিনচালিত যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না। তা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, সরকার জরুরি সেবা বলতে যা বুঝিয়েছে এর বাইরে কোনো যানবাহন চলতে দেওয়া হবে না। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ জরুরি সেবার প্রয়োজন হলে সেগুলো নিতে পারবেন।

মো. আশিক নূর বলেন, সচেতনতা ও সতর্কতা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। সরকারের প্রজ্ঞাপনে যেসব নির্দেশনা রয়েছে সেগুলো সবাইকে মেনে চলতে হবে। লকডাউনের প্রথমদিনে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা সরকারের নির্দেশনা মেনে চলায় আমরা অভিনন্দন জানাচ্ছি। মানুষ নির্দেশনা সানন্দে গ্রহণ করায় আমরা মনে করছি দ্রুতসময়ের মধ্যে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে।


এসএ/আরআর-১১