জৈন্তাপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, ত্রাণের আশ্বাস প্রশাসনের

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি


জুন ৩০, ২০২১
১১:৫৩ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ৩০, ২০২১
১১:৫৩ অপরাহ্ন



জৈন্তাপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, ত্রাণের আশ্বাস প্রশাসনের

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে সারী ও বড় নয়াগাং নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে উপজেলার নিম্নাঞ্চল খারুবিল, শেওলারটুক, মল্লিফৌদ, কাটাখাল, লামনীগ্রাম, মেয়াখাই, মুক্তাপুর, ১ নম্বর লক্ষীপুর, ২ নম্বর লক্ষীপুর, বাওনহাওর, ঢুলটিরপাড়, বিরাইমারা, ফুলবাড়ী, ঝিঙ্গাবাড়ী, আমবাড়ী নলজুরী এলাকাগুলো বুধবার (৩০ জুন) বিকেল পর্যন্ত পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।

১ নম্বর লক্ষীপুর গ্রামের বাসিন্দা এলাকার বাসিন্দা হুমায়ুন কবির বলেন, গতকালের (মঙ্গলবার) তুলনায় আজ (বুধবার) আমাদের বসতবাড়ি থেকে প্রায় ২ থেকে ৩ ফুট পানি কমেছে। চলাচলের রাস্তাঘাট বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে পানির নিচে রয়েছে। থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও পানি কমে যাচ্ছে। তবে উজানে বৃষ্টি হলে ফের বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে।

শেওলারটুক গ্রামের ফারুক আহমদ বলেন, জৈন্তাপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা এখনও পানিবন্দি রয়েছে। বিভিন্ন এলাকার লোকজন নৌকা ও ভেলাযোগে যাতায়াত করছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যান আমাদের এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষেরা এমনিতেই কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত। এখন আবার তারা বন্যাকবলিত। দ্রুত শুকনো খাবার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং মশার উপদ্রব দেখা দেবে। এ জন্য প্রশাসনের কাছে সহায়তা কামনা করেছেন মানুষজন।

ইউপি চেয়ারম্যান এখলাছুর রহমান, বাহারুল আলম বাহার, ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইয়াহিয়া জানান, উপজেলা প্রশাসনকে বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি অবহিত করা হচ্ছে এবং নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য ত্রাণ সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ বলেন, আমি নিজে নৌকা নিয়ে গিয়ে নিম্নাঞ্চলের মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সমস্যার বিষয়টি মাননীয় সংসদ সদস্য প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদকে অবহিত করেছি। দ্রুতসময়ের মধ্যে ত্রাণ সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত আজমেরী হক বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলার বন্যার পরিস্থিতি সম্পর্কে পূর্ব থেকে অবহিত রয়েছি। বর্তমানে পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করেছি। বন্যাকবলিত নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট জরুরি ত্রাণ সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য উপজেলার সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রস্তুত রেখেছি।


আরকে/আরআর-১০