নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ২৭, ২০২১
০৪:১০ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ৩০, ২০২১
০৩:১৮ পূর্বাহ্ন
সিলেটে বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ইতোমধ্যে বিভাগে শনাক্তের সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুও। গত ২৪ ঘন্টায় বিভাগে ৯৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। পাঁচ দিন পর বিভাগে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা শতকের নিচে নামল।
এই সময়ে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিভাগের তিন জেলায় আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে সিলেটের ৩, সুনামগঞ্জের ও মৌলভীবাজারের ১ জন করে রয়েছেন।
রবিবার (২৭ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. সুলতানা রাজিয়া গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় শনাক্ত ৯৯ জন রোগীর মধ্যে ৭৫ জনই সিলেট জেলার বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে সুনামগঞ্জের ৯ জন, হবিগঞ্জের ৮ জন এবং মৌলভীবাজারের ৭ জন রয়েছেন।
শেষ ২৪ ঘন্টায় সিলেটে ৮২ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সুস্থদের মধ্যে ৬৪ জন সিলেট জেলার, ১১ জন হবিগঞ্জ ও ৭ জন মৌলভীবাজার জেলার বাসিন্দা।
সূত্র জানায়, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৫ হাজার ২৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে সিলেট জেলায় সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ৫৬৬ জন, সুনামগঞ্জে ২ হাজার ৯৪৩ জন, হবিগঞ্জে ২ হাজার ৬৪১ জন ও মৌলভীবাজারে ২ হাজার ৮৭৮ জন রয়েছেন।
সিলেট বিভাগে এ পর্যন্ত ৪৬৭ জন করোনাভারাইরাসে আক্রান্ত রোগী মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে সিলেট জেলায় সর্বোচ্চ ৩৮১ জন, সুনামগঞ্জে ৩২ জন, হবিগঞ্জে ১৯ জন এবং মৌলভীবাজার জেলায় ৩৫ জন রয়েছেন।
বিভাগে এ পর্যন্ত ২৩ হাজার ২৭৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছেন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ১৫ হাজার ৭৭৬ জন, সুনামগঞ্জে ২ হাজার ৮০৯ জন, হবিগঞ্জ জেলায় ২ হাজার ১০৯ জন ও মৌলভীবাজারে ২ হাজার ৫৭৯ জন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩২৯ জন রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩১১ জন, সুনামগঞ্জের হাসপাতালে ৬ জন, হবিগঞ্জের হাসপাতালে ২ ও মৌলভীবাজারের হাসপাতালে ১০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. সুলতানা রাজিয়া সিলেট মিররকে বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ৯৯ জন এবং সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ৮২ জন। এসময়ে সিলেটে আরও ৫ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী মারা গেছেন।'
আরসি-০৬