নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ২৫, ২০২১
০৫:১৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জুন ২৬, ২০২১
১২:৩৮ পূর্বাহ্ন
- ফাইল ছবি
সিলেটের করোনা আইসোলেশন সেন্টার শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতাল করোনা রোগীর চাপ বাড়ছে। রোগীর চাপে স্থান সংকুলান নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ৯৬ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালের অধিকাংশতেই রোগী ভর্তি। শুধুমাত্র করোনা আক্রান্ত রোগীদেরই হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। হঠাৎ করে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এটা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালে ৯০ জন রোগী ভর্তি আছেন। ফলে এখন থেকে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট ছাড়া কাউকে ভর্তি রাখা হচ্ছে না। আইসিইউ ১৪টির মধ্যে সবগুলোই রোগীতে পরিপূর্ণ। এছাড়া আইসিইউ ইউনিটে থাকা ২টি ডায়ালাইসিস শয্যার মধ্যে একটি খালি রয়েছে।
হাসপাতালটির আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সুশান্ত কুমার মহাপাত্র বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগেও হাসপাতালে প্রতিদিন ৪০ জনের মতো রোগী ভর্তি থাকতেন। গত কয়েকদিনে তা ৮০ ছাড়িয়েছে। এভাবে রোগী ভর্তি হতে থাকলে কিছুদিনের মধ্যে হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা পরিপূর্ণ হয়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালে ১৬টি আইসিইউ সব সময় পরিপূর্ণ থাকছে। এছাড়া বর্তমানে যেসব রোগী ভর্তি হচ্ছেন তাদের হঠাৎ করেই অক্সিজেন সিচুরেশন কমে যাচ্ছে। তাই সাধারণ মানুষের প্রতি অনুরোধ থাকবে সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করুন।’
সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত সিলেট মিররকে বলেন, ‘কিছুদিন ধরে সিলেটে শনাক্তের হার বাড়ছে। এটি আশঙ্কাজনক বলা যায়। এর সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে অবস্থা আরও বেশি অবনতি হবে। আর অবস্থার অবনতি হলে স্থানীয়ভাবে আংশিক বা পুরো লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধুমাত্র শনাক্তের হার দিয়ে নয় হাসপাতালে থাকা রোগীর সংখ্যা বিবেচনা করে আমরা লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেব। কিছুদিন আগেও আমাদের ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোর অর্ধেক শয্যা খালি ছিল। তবে গত কয়েকদিনে হাসপাতালে রোগী বাড়ছে। তাই লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমরা আরও কিছুদিন পর্যবেক্ষণ করব।’
আরসি-০৩