হাবিবের প্রার্থিতা বৈধ, উচ্চ আদালতে যাবেন আতিক

নিজস্ব প্রতিবেদক


জুন ২৪, ২০২১
১২:৫৮ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুন ২৪, ২০২১
১২:৫৮ পূর্বাহ্ন



হাবিবের প্রার্থিতা বৈধ, উচ্চ আদালতে যাবেন আতিক

যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব অনেক আগেই প্রত্যাহার করেছেন হাবিবুর রহমান হাবিব। দ্বৈত নাগরিক নন, এখন তিনি শুধুই বাংলাদেশের নাগরিক। তাই সিলেট-৩ আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের এমন রায়ে সন্তুষ্ট নন জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী আতিকুর রহমান। তিনি অভিযোগ নিয়ে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জনান।

সিলেট-৩ আসন উপ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইসরাইল হোসাইন সিলেট মিররকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বুধবার (২৩ জুন) দুপুরে ঢাকার প্রধান নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে শুনানি শেষে হাবিবের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়।

তবে নির্বাচন কমিশনের এই রায়ে সন্তুষ্ট নন অভিযোগকারি ও এই আসনের জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী আতিকুর রহমান। তিনি উচ্চ আদালতে যাবেন বলেও জানিয়েছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইসরাইল হোসাইন বলেন, হাবিবের দ্বৈত নাগরিকত্ব চ্যালেঞ্জ করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছিলেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান। তার অভিযোগ, রিটার্নিং কর্মকর্তা একতরফা রায় দিয়েছেন, তাদের কথা শোনেননি। যে কারণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। বুধবার নির্বাচন কমিশন সেই অভিযোগের ওপর শুনানি করে। অভিযোগের শুনানিতে রায় হাবিবের পক্ষে যায়।

রিটার্নিং কর্মকর্তা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান অনেক আগেই যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব বর্জন করেছেন। তাই আতিকুর রহমানের অভিযোগ আমলে নেননি কমিশন।

এদিকে নির্বাচন কমিশনের এমন রায়ে সন্তুষ্ট নন জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী আতিকুর রহমান। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের এই রায়ে সন্তুষ্ট নই। এই অভিযোগ নিয়ে আমি উচ্চ আদালতে যাব। সেখানে অবশ্যই সন্তুষ্টজনক রায় পাব বলে আশা করি।

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২০ জুন অভিযোগ দায়ের করেন আতিক। সেই অভিযোগের শুনানি ছিল মঙ্গলবার। মঙ্গলবার শুনানি শেষ না হওয়ায় বুধবার ১১টা পর্যন্ত শুনানি মুলতবি ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। অবশেষে গতকাল বুধবার সকাল ১১টা থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা শুনানি শেষে হাবিবকে বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

আরসি-১০/বিএ-০৫