জৈন্তাপুরে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান, ১১টি মেশিন ধ্বংস

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি


জুন ২৩, ২০২১
১০:৪২ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ২৪, ২০২১
০১:০২ পূর্বাহ্ন



জৈন্তাপুরে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান, ১১টি মেশিন ধ্বংস

সিলেটের জৈন্তাপুরে পরিবেশের ক্ষতি সাধন করে পাহাড় ও টিলা কর্তন এবং পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় পাথর উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত ১১টি মেশিন ধ্বংস করা হয়। টিলার পাথর ক্রয়ের জন্য স্টোন ক্রাশার মিলগুলোতে অভিযান পরিচালনা করে ২ জন আটক করা হয়। পরে ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।

বুধবার (২৩ জুন) দুপুর ১২টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত জৈন্তাপুর উপজেলার আলুবাগান, মোকামপুঞ্জি সুপারী জুম এবং ৪ নম্বর বাংলাবাজার এলাকার ক্রাশার মিলগুলোতে অভিযান পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের পরিচালক এমরান হোসেন। র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৯ ও গোয়েন্দা সংস্থার একটি টিম অভিযানে অংশগ্রহণ করে।

জানা গেছে, জৈন্তাপুর উপজেলার ফতেপুর (হরিপুর), চারিকাটা, নিজপাট ও জৈন্তাপুর ইউনিয়নের টিলা ও পাহাড় কর্তন করে প্রভাবশালী পাথর ও ভূমিখেকো চক্র নির্বিচারে পরিবেশের ক্ষতি সাধন করে আসছে। কিছুদিন পূর্বে সিলেটে সিরিজ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল হিসেবে জৈন্তাপুর শনাক্ত হয়। ভুমিকম্পের জোন হিসেবে চিহ্নিত জৈন্তাপুর উপজেলার পরিবেশকে ধ্বংসের কবল থেকে রক্ষা করতে পাহাড়-টিলা কর্তন এবং পাথর উত্তোলন বন্ধ করতে একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানে নেমেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। 

অভিযানে মোকামপুঞ্জি খাসিয়া আদিবাসী নেতা হেনরী লামিন ভিভেনসন খাসিয়া ও মিম খাসিয়ার সুপারী জুমে খনন করে পাথর উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত ৫টি শ্যালো মেশিন ও ২টি পাম্প মেশিন পুড়ে ফেলা হয়। এছাড়া ৪ নম্বর বাংলাবাজার স্কুলের পেছনে নদীর ধারে অভিযান পরিচালনা করে ৪টি শ্যালো মেশিন ধ্বংস করা হয়। অপরদিকে ৪ নম্বর বাংলাবাজার এলাকার নদীর পাড় কর্তনের কাজে জড়িত ২ জনকে আটক করা হয়। পরে ৫০ হাজার টাকা হারে মোট ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। 

আরও জানা গেছে, সুপারী জুম, পাহাড়, টিলা, নদীর পাড় খনন কাজে জড়িতদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে নোটিশ প্রদান করা হবে। নোটিশের জবাব না পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে।

পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের পরিচালক এমরান হোসেন বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। 


আরকে/আরআর-০৪