ছয় দফা দাবিতে শাবি ছাত্র ফ্রন্টের স্মারকলিপি

শাবি প্রতিনিধি


জুন ১৭, ২০২১
১১:১০ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ১৭, ২০২১
১১:১১ অপরাহ্ন



ছয় দফা দাবিতে শাবি ছাত্র ফ্রন্টের স্মারকলিপি

স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্যাম্পাস খোলা ও ৬ দফা দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখা ছাত্র ফ্রন্ট। 

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) বিকেলে সংগঠনের পক্ষ হতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, 'সার্বজনীন, বিজ্ঞানভিত্তিক, সেক্যুলার, গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন ও একই ধারার শিক্ষা ব্যবস্থা'র স্লোগানকে সামনে রেখে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া যেমন বেতন-ফি বৃদ্ধি বন্ধ, ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের দাম কমানো, আবাসন ও পরিবহন সংকট নিরসনসহ বিভিন্ন দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই লড়াই সংগ্রাম করছে। এরই ধারাবাহিতায় কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে কাজ করে আসছে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করছে। 

দীর্ঘদিন যাবৎ ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় অনলাইন ক্লাস কার্যক্রমের উদ্যোগ নেওয়া হলেও সেখানে অধিকাংশ শিক্ষার্থী সঠিক সময়ে ডিভাইস এবং প্রত্যন্ত এলাকায় কারিগরি সংযোগ ত্রুটি, নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হতে পারেনি। একই সঙ্গে পারিবারিক ও আর্থিক অনিশ্চয়তার ফলে এই বিষয়গুলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে একধরনের হতাশা তৈরি করেছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনলাইনে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। 

আপনি নিশ্চয় লক্ষ্য করেছেন করোনা পরিস্থিতিতেও কেবলমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকি সকল কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কলকারখানা থেকে শুরু করে সর্বত্র মানুষের সমাগম রয়েছে। আমরা মনে করি দ্রুত স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনলাইন পরীক্ষা পরবর্তীতে ঢালাও পরিকল্পনা মাফিক ক্লাস নেওয়ার জন্য শাবিপ্রবি প্রশাসন যথাযথ কার্যকরী উদ্যোগ নেবে এবং যে কোনো পরীক্ষা যদি অফলাইনে নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় তবে আগে হল খুলে দিয়ে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। নয় তো একই মেসে অতিরিক্ত শিক্ষার্থীর চাপ করোনার ঝুঁকিই শুধু বাড়াবে এবং আর্থিক সংকটও অনেকের তীব্র হবে। ফলে অনেক শিক্ষার্থীর জীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। এমতাবস্থায় সমস্যা সমাধানে নিম্নোক্ত দাবিগুলো সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট করছে, যা কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে শাবিপ্রবি’র শিক্ষা সংকট মোকাবেলায় ভূমিকা রাখবে বলে আমরা মনে করি। 

দাবিসমূহের মধ্যে রয়েছে :

১. পরীক্ষা পরবর্তীতে সপ্তাহে দুইদিন শিক্ষা কার্যক্রম চালু রেখে পর্যবেক্ষণ করা এবং ভ্যাকসিনেশনের আওতায় এনে অনুকূল পরিস্থিতিতে পূর্ণ শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা।

২. বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের বিভিন্ন কাঠামো ব্যবহার করে আইসোলেশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা।

৩. অসুস্থ ও বয়স্ক শিক্ষক, কর্মচারী-কর্মকর্তাদের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা।

৪. অসুস্থ শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা যেমন অনলাইন ক্লাস, ক্লাস রেকর্ডিং, ক্লাস নোটের ব্যবস্থা করা।

৫. সকল ধরনের বেতন-ফি মওকুফ করা।

৬. অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের পুনরায় আর্থিক সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে।


এইচএন/আরআর-০৫