শামীম আহমদ, বালাগঞ্জ
জুন ১৭, ২০২১
০৯:২৭ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ১৭, ২০২১
১১:২৬ অপরাহ্ন
সিলেট-সুলতানপুর-বালাগঞ্জ সড়ক দিয়ে মানুষ এবং যান চলাচল কষ্টকর হয়ে পড়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি এখন পথচারী এবং স্থানীয়দের কাছে বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোদে ভাঙাচোরা সড়কটি সারাক্ষণ ধুলায় ধূসর হয়ে থাকে। আর বৃষ্টি হলেই কাদা-জলে একাকার হয়ে যায়।
প্রায় এক যুগ ধরে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের অন্ত নেই। এ সড়কের বেহাল দশার কারণে অসুস্থ রোগীদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। দীর্ঘদিন থেকে চলাচলের অনুপযোগী এ সড়কে চলতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন সাধারণ পথচারীরা। জনসাধারণের কাছ থেকে পরিবহনগুলো আদায় করে নিচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। ২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সড়কের মধ্যে বালাগঞ্জ সিরিয়া স্ট্যান্ড থেকে জালালপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় ১৭ কিলোমিটার সড়ক খুড়ে বালি ফেলে রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিজের খুশিমতো কাজ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের চরম গাফিলতি এবং সওজ কর্মকর্তাদের উদাসীনতার জন্যই এমনটি হচ্ছে। ভাঙাচোরা সড়কে দুর্ভোগের সঙ্গে গুণতে হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সিলেট-সুলতানপুর-বালাগঞ্জ সড়ক প্রশস্তকরণ ও মেরামত কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের ২৫ মার্চ। সড়কটি ১২ ফুট থেকে উন্নিত করে ১৮ ফুট প্রশস্তকরণসহ সংস্কার কাজের জন্য প্রায় ৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে কাজটি পায় ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন (জেবি) নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কার্যাদেশ অনুযায়ী ১৮ মাসের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার কথা ছিল। সে হিসেবে গত বছরের ২৫ অক্টোবর প্রকল্পের মেয়াদকাল শেষ হয়ে গেছে। এরপর বর্ধিত সময়ে চলতি জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন অজুহাতে কালক্ষেপণ করায় এখনও সংস্কার সম্পন্ন হয়নি।
সিএনজিচালিত অতরিকশার চালক ফজলু মিয়া, রায়হান মিয়াসহ আরও কয়েকজন চালক বলেন, আর কতকাল দুর্ভোগ পোহাতে হবে তা আল্লাহই জানেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিজের খেয়াল-খুশিমতো কাজ করছে। বৃষ্টি হলে সড়কের গর্তে পানি জমে থাকে আর রোদে ধুলা উড়ে।
বালাগঞ্জ উপজেলার সারসপুর গ্রামের বাসিন্দা সদরুল হাসান নবীন বলেন, দীর্ঘ দুই বছর পেরিয়ে এখনও ১৭ কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণ না হওয়ায় যাত্রীসাধারণ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প ব্যবস্থাপক জগলুল হায়দার বলেন, দ্রুত কাজ শেষ করতে আমরা চেষ্টা করছি।
আর সড়ক ও জনপথ বিভাগ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বড়ুয়া বলেন, দ্রুত কাজ শেষ করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে।
এসএ/আরআর-০২