নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ১৬, ২০২১
০১:২৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জুন ১৬, ২০২১
০১:২৪ পূর্বাহ্ন
বিয়ের বাজার করার কথা বলে সিলেটে এক নারীকে সঙ্গবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার (১৪ জুন) রাতে সিলেটের জালালাবাদ থানাধীন কান্দিগাঁও ইউনিয়নের নীলগাঁও পুঁটিকাটা ব্রিজে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে জালালাবাদ থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, জালালাবাদ থানার ইসলামপুর মানসিনগর গ্রামের কাপ্তান মিয়ার ছেলে তাজ উদ্দিন এবং জালালাবাদ থানার ইসলামপুর মানসিনগর গ্রামের রজন মিয়ার ছেলে এখলাছুর রহমান। এছাড়া এঘটনায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক একই থানার বাসিন্দা ফুল মিয়া পলাতক রয়েছেন।
পুলিশের গণমাধ্যম শাখা সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অভিযুক্ত তাজ উদ্দিনের সঙ্গে ধর্ষণের শিকার নারীর (৩১) পরিচয় হয়। এসময় তিনি ওই নারীকে বিয়ের আশ্বাস দেন। গত সোমবার রাতে বিয়ের বাজারের কথা বলে তাজ উদ্দিন সুরমা আবাসিক এলাকার বাসা ওই নারীকে থেকে বের করে নিয়ে আসেন। এসময় আরেক অভিযুক্ত ফুল মিয়ার সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে তাকে প্রথমে আম্বরখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে অভিযুক্ত এখলাছুর রহমান সিএনজিতে উঠেন। পরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি কান্দিগাঁও ইউনিয়নের নীলগাঁও পুঁটিকাটা ব্রীজে নেওয়া হয়। এসময় মামলার তিন আসামি ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণের শিকার নারীকে আবার শহরের দিকে নিয়ে আসার সময় তার কান্না শুনে স্থানীয় নীলগাঁও গ্রামের বাসিন্দারা সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি আটক করে। এসময় ওই নারী ধর্ষণের বিষয়টি গ্রামবাসীকে বললে তারা তাজ উদ্দিন ও এখলাছুর রহমানকে আটক করে থানায় সংবাদ দেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে আটককৃতদের থানায় নিয়ে আসে। তবে এর আগে কৌশলে ফুল মিয়া সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে শিকার নারী জালালাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর ১০)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জালালাবাদ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) খালেদ মামুন সিলেট মিররকে বলেন, ‘ভিকটিম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। তাকে আমরা ওসমানী হাসপাতালের ওসিসি বিভাগে পাঠিয়েছি। এছাড়া গ্রেপ্তার দুইজনকে মঙ্গলবার আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। বুধবার আমরা এক সপ্তাহের রিমান্ড আবেদন করব। প্রাথমিকভাবে আসামি তাজ উদ্দিন ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছে।’
এনএইচ/বিএ-০৯