সিলেট মিরর ডেস্ক
মে ৩০, ২০২১
০৪:৪৪ অপরাহ্ন
আপডেট : মে ৩০, ২০২১
০৪:৪৪ অপরাহ্ন
করোনাভাইরাস সংক্রমণের গতি-প্রকৃতি এখনো দুর্বোধ্য। এ অবস্থায় চলমান সীমিত পর্যায়ের ‘লকডাউনের’ সময়সীমা আরো এক সপ্তাহ বাড়ানো সিদ্ধান্ত আসছে। আজ রবিবার (৩০) মে বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও আরও অন্তত দুই সপ্তাহ চলমান বিধি-নিষেধ বহাল রাখার পক্ষে মত দিলেও প্রাথমিকভাবে এক সপ্তাহ লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী চলমান সীমিত পর্যায়ের লকডাউন আজ রবিবার রাত ১২টায় শেষ হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক ডিজি ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এম এ ফয়েজ বলেন, ‘সংক্রমণ তুলনামূলক কম থাকলেও আমরা এখনো ঝুঁকিমুক্ত নই। পরিস্থিতি এখনো দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই রয়েছে। তাই এখনই বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়ার সুযোগ নেই। বরং সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য বিষয়ে নজরদারি বাড়ানো উচিত। সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে নামলে মোটামুটি স্বাভাবিক হওয়ার চিন্তা করা যায়।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারি দলের অনেক নেতাকর্মী ঠিকাদারি কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায়ে সরকারি অফিস খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। সম্প্রতি নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কয়েক নেতা লকডাউন না চালানোর বিষয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্যও দিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ঢিলেঢালা লকডাউনের সঙ্গে কড়াকড়িভাবে অঞ্চলভিত্তিক লকডাউন কার্যকর করার চিন্তা করছে সরকার। সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায় থেকেও সব কিছু এখনই স্বাভাবিক হওয়ার সময় আসেনি বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি স্কুল-কলেজ খোলার প্রস্তুতির কথা বলা হলেও সেটা কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।’
আরসি-০৫