খেলা ডেস্ক
মে ৩০, ২০২১
০৫:৫১ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মে ৩০, ২০২১
০৫:৫১ পূর্বাহ্ন
মহামারি করোনা পুরোপুরি নিঃস্ব হয়ে ইটভাটায় দিনমজুরের কাজ করছেন ভারতের এক নারী ফুটবলার। ২০ বছর বয়সি এ ফুটবলারের নাম সংগীতা কুমারী। যে সময় পায়ে বল ঠেলে মাঠ দাপিয়ে বেড়ানোর কথা, সেই সময়ে মাথায় ইটের বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।
সাধারণ মানের খেলোয়াড় নন সংগীতা। ঝাড়খণ্ড নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক তিনি। ২০১৮ সালে ভারতের জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৮ দলের হয়ে ভুটানে খেলেছেন। এর পর অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে থাইল্যান্ডে খেলে এসেছেন। সর্বশেষ ঝাড়খণ্ড নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সংগীতা। তার বাড়িও ঝাড়খণ্ডে। সেখানে বুলি জেলার বান্সমুদি গ্রামের বাসিন্দা তিনি।
খেলাই সংগীতার পেশা। কিন্তু লকডাউনের কারণে গত দুই বছর ধরে খেলাধুলা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নিঃস্ব হয় পড়েছেন ভারতের এই কৃতী নারী ফুটবলার। এই সময়টিতে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা বা কোনো কাজও পাননি তিনি। পরে পেটের টানে ইটভাটায় কাজ নেন সংগীতা।
ইটের বোঝা বয়ে জীবনের ঘানী টেনে নেওয়া কেমন উপভোগ করছেন সংগীতা? জবাবে বললেন, আমি যতগুলো ইট বয়ে নিয়ে যাই, প্রত্যেকটার জন্য টাকা পাই। ১০টা থেকে ৫টা পর্যন্ত কাজ করে ১৫০-২০০ টাকা হাতে আসে। এটা দিয়ে কোনোমতে চলে যাচ্ছে।’
এমন সব কথা বলে সংগীতা নিজের করুণ দশাকে ঢাকার চেষ্টা করলেও বিষয়টি সরকারের নজরে এনেছেন ভারতের জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন রেখা শর্মা। তার মতে, সংগীতার মতো একজন ক্রীড়াবিদ ইটভাটায় কাজ করছেন— এটি জাতির জন্য লজ্জা। অবিলম্বে সংগীতাকে সাহায্য করে তার মাথা থেকে ইটের বোঝা নামানোর জন্য ঝাড়খণ্ড সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।
রেখা শর্মার সেই অনুরোধে সাড়া দিয়েছে ঝাড়খণ্ড সরকার। সেখানকার স্পোর্টস সেক্রেটারি পূজা সিংঘাল জানিয়েছেন, সংগীতাকে আর্থিক সহায়তা করা হবে শিগগিরই। রাজ্যের কোনো একটি স্পোর্টস স্কলারশিপ প্রোগ্রামের আওতায় নিয়ে আসা হবে এই জাতীয় দলে ফুটবলারকে।
এএন/০২