সিলেট মিরর ডেস্ক
মে ৩০, ২০২১
০২:৫৮ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মে ৩০, ২০২১
০২:৫৮ পূর্বাহ্ন
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের বিবদমান দ্বন্দ্বের জের ধরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ছয়জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
শনিবার (২৯ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীদের মধ্যে এ গোলাগুলি হয়। বসুরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মওদুদ আহমদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধরা হলেন পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শামছুল হকের ছেলে সবুজ (৪০), নূর আহম্মদের ছেলে জিসান (২৩), মো. সানি (২৭), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের এনামুল হকের ছেলে দেলোয়ার হোসেন সুমন (২৭), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকার মোশারফ হোসেনের ছেলে দিদার (৩৫)। আহত একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার সন্ধ্যা থেকে কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে ও বসুরহাট পৌরসভার প্রত্যেক ওয়ার্ডে কাদের মির্জার অনুসারীরা তার পক্ষে মিছিল বের করে।
বসুরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাদের মির্জার অনুসারীরা সন্ধ্যা ৭টার দিকে মিছিল করতে গেলে প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
গোলাগুলিতে কাদের মির্জার অনুসারী ছয়জন গুলিবিদ্ধ হন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে প্রতিপক্ষ বাদলের অনুসারী কারও আহত হওয়ার খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল বলেন, ‘গত চার দিন আমি ঢাকায় অবস্থান করছি। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’
অন্যদিকে কাদের মির্জার মোবাইলে কল দেওয়া হলে তার সহকারী পরিচয় দিয়ে স্বপন মাহমুদ বলেন, কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়েছেন। তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এই মুহূর্তে সবার নাম-পরিচয় জানাতে পারছি না।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, ছয়জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তারা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।
বিএ-১৫