সিলেট মিরর ডেস্ক
মে ১৭, ২০২১
১২:৪৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মে ১৭, ২০২১
১২:৪৭ পূর্বাহ্ন
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধ ১৬ মে মধ্যরাত থেকে ২৩ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বেড়েছে। আজ রবিবার (১৬ মে) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ঈদের পর দূরপাল্লার বাস ছাড়ার অনুমোদন দেয়নি সরকার। ফলে আগের মতোই বন্ধ থাকছে দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল। তবে আগের মতোই জেলার মধ্যে গণপরিবহন চলাচল করবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আন্তঃজেলা বাস, যাত্রীবাহী ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল করবে কি না তা ১৭ থেকে ২৩ মে পর্যন্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
এদিকে দূরপাল্লার বাস চলাচলের অনুমতি না দেওয়ায় ঈদুল ফিতরের দিন রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বাস ও ট্রাক টার্মিনালে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন সড়ক পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। ঈদ শেষে এখনও যদি দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয় তাহলে তারা আবার আন্দোলনে যাবেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, ঈদে বাড়ি যাওয়া যাত্রীদের ঢাকায় ফেরার জন্য দূরপাল্লার বাস চালু করা উচিত ছিল। তা না করায় আমরা আবার আন্দোলনে যাব। তার আগে আমরা সোমবার সড়কমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও শ্রম প্রতিমন্ত্রীর কাছে আমাদের পাঁচটি দাবি সম্বলিত চিঠি দেব। কাজ না হলে আমরা প্রতীকী অনশন, মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করব সারাদেশে।
মূলত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরপাল্লার বাস চলাচলের অনুমতি পেতে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো সরকারে ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দূরপাল্লার গণপরিবহন চালু হলে করোনা সংক্রমণ বাড়বে। এ বিষয়ে সরকারের নীতি নির্ধারকরাও একমত। কিন্তু পরিবহন খাতের শীর্ষ নেতাদের আহ্বানে দূরপাল্লার বাস চালুর দাবিতে গত শুক্রবার (১৪ মে) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত সারা দেশে পরিবহন শ্রমিকরা বিভিন্ন বাস ও ট্রাক টার্মিনালে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
সড়ক পরিবহন খাতের নেতারা বলছেন, করোনায় বিধিনিষেধের মধ্যেও মার্কেট, শপিংমলসহ সব কিছু খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গণপরিবহন চালুর ক্ষেত্রে নানা তালবাহানা চলছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন ৫০ লাখ পরিবহন শ্রমিক।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, আমরা বার বার দাবি জানিয়েছি। সরকার দূরপাল্লার গণপরিবহন চালু না করলে জনভোগান্তি বাড়বে। বাস না ছাড়লে ট্রাকসহ অন্যান্য পরিবহনে তারা গাদাগাদি করে ঢাকায় ফিরবে। তাতে কি করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে?
যাত্রীবাহী ট্রেন, লঞ্চ চলবে না
এদিকে, বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিচালনা) শাহাদাত আলী সরকার বলেছেন, ১৭ মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করবে না। তারপর হয়তো স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের অনুমতি দিতে পারে সরকার। আমরা সরকারি আদেশ পেলে যেকোনো সময় যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনার জন্য প্রস্ততি নিয়ে রেখেছি। রেলপথে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলো পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হচ্ছে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ কাজের অংশ হিসেবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, গণপরিবহন হওয়ায় বিধিনিষেধ চলাকালে আগের মতোই লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।
আরসি-১২